সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের। এমনকী আইএস জঙ্গিকে লুকিয়ে থাকতে মদতও দিয়েছেন তিনি। এই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে গুজরাটের হাই-প্রোফাইল নেতা ও সোনিয়া গান্ধীর ‘ঘনিষ্ঠ’ আহমেদ প্যাটেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী খোদ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।
[বিধানসভা নির্বাচনের মুখে গুজরাটে গ্রেপ্তার ২ আইএস জঙ্গি]
বুধবার, গুজরাট পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার (এটিএস) হাতে ধরা পড়ে ইসলামিক স্টেটের দুই জঙ্গি। আসন্ন নির্বাচনে আমেদাবাদে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল তাদের। অভিযোগ, ধৃত ওবেইদ নামের জঙ্গিটি আহমেদ প্যাটেলের পরিচালিত একটি হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাজ করত। এ নিয়ে শুক্রবার ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী রূপানি। তাঁর অভিযোগ, “প্যাটেলের হাসপাতালে কাজ করত ওই জঙ্গি। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার এমন জঙ্গিযোগ উদ্বেগজনক। তাই লোকসভার সদস্যপদ ত্যাগ করা উচিত তাঁর।” তবে শুধু মাত্র প্যাটেলকে বিদ্ধ করেই ক্ষান্ত থাকেননি রূপানি। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি। রূপানির দাবি, সন্ত্রাসবাদের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে নিজেদের স্বচ্ছতার প্রমাণ দিক কংগ্রেস।
এদিকে রূপানির হামলার পালটা জবাব দিয়েছেন আহমেদ প্যাটেল। তিনি পালটা দাবি করেন, রাজ্যে বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই বক্তব্য কংগ্রেসেরও। প্যাটেল বলেন, গুজরাটে দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বিজেপি। তাই ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন রূপানি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। তবে মুখে তেড়েফুঁড়ে উঠলেও, নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে প্যাটেল ও তাঁর দল। ইতিমধ্যে বুথ ফেরত সমীক্ষায় গুজরাটে বিজেপির পাল্লাই ভারী বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। সব মিলিয়ে গুজরাটে কংগ্রেসের গতিক সুবিধের নয় বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এমনই পরিস্থিতিতে প্যাটেলের তথাকথিত ‘জঙ্গিযোগকে’ হাতিয়ার করে মহড়ায় নেমেছে গেরুয়া শিবির।
[‘পাকিস্তান না পারলে বলুক, সন্ত্রাস দমনের রাস্তা আমাদের জানা রয়েছে’]