সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন মহিলাদের যৌন হেনস্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে দিল্লি পুলিশের কাছে সময় চেয়ে নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পুলিশকে রাহুল জানিয়েছেন, দীর্ঘ ভারত জোড়ো যাত্রায় বহু মহিলা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। সব তথ্য মনে নেই। তাই পুলিশের হাতে সব তথ্য তুলে দিতে তাঁর কিছুটা সময় লাগবে।
আসলে ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) শেষে শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, দীর্ঘ যাত্রাপথে বহু মহিলা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন, যে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছেই যৌন হেনস্তা বা ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশে অভিযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। কারণ পুলিশে অভিযোগ করলেই তাঁদের সম্মান নিয়ে টানাটানি হবে। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, কংগ্রেস সাংসদকে সেই মন্তব্যের ব্যখ্যা দিতে হবে। ঠিক কারা কারা রাহুলের কাছে এই ধরনের অভিযোগ করেছেন তাঁদের তালিকা দিতে হবে। যাতে ওই মহিলাদের ন্যায়বিচার দেওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: মামাতো ভাইয়ের শিক্ষকতার ‘অবৈধ’ চাকরি! ফাঁস করে দিতে চাইতেই কি সপরিবারে খুন দুর্গাপুরের যুবক?]
রবিবার সকালেই রাহুলের ১২ তুঘলক রোডের বাসভবনে যান দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লির স্পেশ্যাল কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা। প্রায় ঘণ্টাখানেক রাহুলের বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করার পর কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায় পুলিশ। বৈঠক শেষে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “রাহুলজি বলেছেন দ্রুত সব তথ্য দেবেন। উনি জানিয়েছেন দীর্ঘ পথে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেই তথ্য একজোট করতে সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব উনি তথ্য দেবেন। তারপরই আমরা ওই মহিলাদের নিরাপত্তা দেব এবং আইনি ব্যবস্থা নেব।” সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ রাহুলের বয়ান রেকর্ড করতে চায়। যদিও তার কোনও সময়সীমা এখনও জানানো হয়নি।
[আরও পড়ুন: আসানসোল কম্বল কাণ্ড: আদালতে নিজেই সওয়াল জিতেন্দ্রর, ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের]
এদিকে রাহুলের বাড়িতে দিল্লি পুলিশের এই ‘জিজ্ঞাসাবাদ’কে হেনস্তার শামিল বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ বলেছেন, দিল্লি পুলিশ নাটক করছে। আমরা আদানি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছি, সেকারণেই রাহুলকে হেনস্তা করা হচ্ছে।