সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিতর্কের জেরে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হল মানস ভুঁইয়াকে৷ কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ যদিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সবংয়ের বিধায়ক৷
অবিলম্বে মানস ভুঁইয়াকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ আবদুল মান্নানকে এই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, অন্য দলে (তৃণমূল কংগ্রেস) যাওয়ার জন্য উনি (মানস ভুঁইয়া) মাথা বাড়িয়েই রেখেছেন, তাহলে ধড় আলাদা থাকে কেন?
১৯৯৬ সালের পর এবার বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায় কংগ্রেস৷ ২০ বছর পর কংগ্রেসের ভাল ফলে অনেকেই আশা করেছিল, এবার হয়তো দলটা ঘুরে দাঁড়াবে৷ কিন্তু সাফল্য যে এত তাড়াতাড়ি হাতছাড়া হবে, তা হয়তো অনেক কংগ্রেস কর্মীরাই আশা করেননি৷ একদিকে প্রতিদিনই দল ছাড়ছেন কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা৷ গোদের উপর বিষফোঁড়া দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল৷ তাও আবার প্রকাশ্যে৷ পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির৷ জল গড়ায় দিল্লি পর্যন্ত৷ গত বুধবার কনক দেবনাথ, খালেদ এবাদুল্লা, অজয় ঘোষ, মনোজ পাণ্ডেরা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীরের বিরুদ্ধে সরব হন৷ কনক বলেন, “রাজ্য কংগ্রেসের সব থেকে ব্যর্থ সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ তাঁর অপসারণ চাইছি৷” এখন ‘কোঠারি সিস্টেম’ রাজ্য কংগ্রেসে চলছে বলে অভিযোগ মানস ঘনিষ্ঠ ওই চার নেতার৷
শুধু সাংগঠনিক বিষয় নয়, অধীরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দেন কংগ্রেস নেতারা৷ তাঁদের অভিযোগ, “অধীর চৌধুরি নয়, অতসী চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলার অঙ্গুলিহীলনে কংগ্রেস চলছে৷” বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারের খরচবাবদ যে টাকা এআইসিসি পাঠিয়েছিল, তা সব প্রার্থীদের সমানভাবে দেওয়া হয়নি বলে অধীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ কনক, খালিদ, অজয়, মনোজদের৷ সেই বিদ্রোহকে অঙ্কুরেই বিনাশ করতেই অধীরের এই পদক্ষেপ, অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের৷
The post দল থেকে সাসপেন্ড হলেন মানস ভুঁইয়া appeared first on Sangbad Pratidin.