সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল (TMC), কংগ্রেস-সহ (Congress) ২১টি রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিল উদ্বোধন। যদিও সাভারকরের জন্মদিনে ঘটা করেই উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building)। বেদমন্ত্র পাঠ করে, পুজো এবং যজ্ঞে অংশ নিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সর্বধর্ম প্রার্থনাতেও অংশ নেন তিনি। পাশাপাশি সংসদ ভবনের স্থাপন করেন সোনার রাজদণ্ড সেঙ্গল। গোটা অনুষ্ঠান নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কটাক্ষ, অনুষ্ঠানটিকে মোদির ‘রাজ্যাভিষেক’ বলে মনে হয়েছে।
রবিবার টুইট করে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করেন রাহুল। টুইটারে তিনি লেখেন, “সংসদ গোটা দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর।” আরও লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের উদ্বোধনকে রাজ্যাভিষেক মনে করেছেন।” ঘুরিয়ে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও। বর্ষীয়ান নেতা টুইট করেন, “সকালে অনুষ্ঠান দেখলাম। আমি খুশি যে উপস্থিত ছিলাম না। ওখানে যা ঘটেছে তা দেখে চিন্তিত। আমরা কি দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছি? এই অনুষ্ঠান কি শুধুমাত্র কয়েক জন মানুষের?”
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদের উদ্বোধনের দিনই ভূলুণ্ঠিত দেশের গর্ব, এই কি প্রাপ্য ছিল সাক্ষী-ভিনেশদের?]
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay) বলেন, “কেন্দ্রের যে কোনও প্রকল্পে হাজার কোটি খরচ হচ্ছে। অথছ পশ্চিমবঙ্গের পাওনা ১০০ কোটি মেটানো হচ্ছে না। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদীয় কমিটির সুপারিশ ছিল নতুন সংসদ ভবনের বিষয়ে। এই বিষয়ে বিরোধিতা নেই কারওই। কিন্তু ওঁর (মোদি) একটি ব্যাপার আছে, কাউকে কিছু বলেন না। তাছাড়া আমন্ত্রণ না জানিয়ে রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। একটাই বার্তা দেওয়া হল, মোদিজিই সব।”
[আরও পড়ুন: দাক্ষিণাত্যের চাবিকাঠি ধর্মদণ্ড ‘সেঙ্গল’! নতুন সংসদ ভবনে তামিল অস্মিতার বার্তা মোদির]
সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল প্রথম থেকেই। তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ ২১টি রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নন, সাংবিধানিক পদমর্যাদা বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে উদ্বোধন হোক ঐতিহাসিক ভবনের। রাজনৈতিক বিতর্ক গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। প্রথম থেকেই বিরোধীদের দাবিকে আমল দেয়নি বিজেপি সরকার। তা মেনে নিতে পারছেন না রাহুল-পওয়ার-সুদীপের মতো বিরোধী নেতারা।