সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) ভারত-বিরোধী মৌলবাদের চাষ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন। ভারতীয় দূতাবাসে হামলার চেষ্টা। এবার পালটা শুরু হল এদেশেও। আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ তিপ্রা মথা সমর্থকদের। এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে আগরতলার ওই উপদূতাবাসে হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে সতর্ক ত্রিপুরা প্রশাসন।
এদিন তিপ্রা মথার যুব মোর্চার ব্যানারে একদল যুবক আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস অভিযান করে। শয়ে শয়ে যুবক তাতে অংশ নেন। হাতে জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশের মৌলবাদী এবং ভারত-বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে মিছিলে হাঁটেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মা সোশাল মিডিয়ায় বলেন, "সব রাজনৈতিক দলের ঘুম ভাঙানোর সময় এসে গিয়েছে। আমাদের আসল লড়াই নিজেদের মধ্যে নয়, মিনি পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) বিরুদ্ধে।"
গত বছর এই একই ধরনের মিছিল থেকে আগরতলার ওই উপদূতাবাসে হামলা হয়েছিল। এবার আগেভাগে সতর্ক ত্রিপুরা প্রশাসন। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, ওই মিছিলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আগরতলার উপদূতাবাস। মোতায়েন করা হয়েছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের।
এদিকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত হলে সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেজন্য ত্রিপুরা সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএসএফও। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ বিলোনিয়া মুহুরী চর এলাকা-সহ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠাচ্ছে।
