টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ফের বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্যে বুলডোজার সরকার আনার ডাক দিলেন তিনি। নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার তামলিবাঁধ এলাকায় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তের অশান্তি প্রসঙ্গে ইঙ্গিতে রাজ্যকেই আক্রমণ করেন তিনি। দাবি করেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ করা হয়নি। শুভেন্দু এদিন বলেন, “চারদিন ধরে পশ্চিম বাংলাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। বৃহস্পতিবার ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ১৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে ছিল। যখন যোগীজি পিঠে ডান্ডা ফেলছেন, ভাল করে বুলডোজার চালাচ্ছেন, তখন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাতজোড় করে বলছেন তোমরা ওঠো।”
[আরও পড়ুন: এবার বিজেপির WhatsApp গ্রুপ ছাড়লেন দলের অন্যতম মুখপাত্র, ফের প্রকাশ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব]
এদিন ইঙ্গিতে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়েদেন যে, যোগীর পথে হাঁটলে অনেক আগেই শান্ত হত বাংলা। দুর্ভোগের শিকার হতে হত না রাজ্যবাসীকে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে বলেন, “যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকবে। আর গোটা ভারতে তাণ্ডব করবে।” এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করে শুভেন্দু। বলেন, “আসুন গেরুয়া ডান্ডা শক্ত করে, বুলডোজার সরকার নিয়ে আসি। যে সরকার বুলডোজার চালিয়ে আবর্জনা সরিয়ে দেবে।” বিরোধী দলনেতার এই বুলডোজার মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। ২০টি দেশ এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে। তার আঁচেই উত্তপ্ত বাংলাও। গত বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা জারি রয়েছে। এছাড়ায় জেলায় জেলায় চলেছে অশান্তি, বিক্ষোভ। শুক্রবারও ধূলাগড় ও উলুবেড়িয়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। পুলিশ কিয়স্কে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শনিবার হাওড়া, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। রবিবারও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে অশান্তির ছবি।