বাবুল হক, মালদহ: বিরোধীদের বেঁধে রাখার নিদান। এবার বিতর্কে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মালদহের বৈষ্ণবনগরে সভার আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। সেখানে ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, “এই সিপিএম সমাজের বিষ, কংগ্রেস, বিজেপি সমাজের শত্রু। এই বিজেপি যারা মানুষকে বিভাজন করতে চায়। তারা সমাজের শত্রু। এরা গ্রামে এলে কিংবা বিভ্রান্ত করলে কোমড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখুন। এদের জিজ্ঞেস করুন, তোমরা মানুষের জন্য কী করেছ?” স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্যে তোলপাড় জেলা। মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধীরা। যদিও নিজেদের অবস্থানে অনড় বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমরা যে এলাকায় মিটিং করছি, সেই এলাকার গঙ্গা ভাঙ্গনে বিপন্ন হচ্ছে। এখানে বিজেপির নেতারা এসে জাতপাতের কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। গঙ্গা ভাঙন রোধ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু কেন্দ্র কিছু করছে না। বিজেপি নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা উচিত।”
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পেটে লাথি মেরে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা]
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, “মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। ওদের মাথা ঠিক নেই, ভুলভাল বকছেন। কিছুদিন ধরেই উনি বলছেন, হাত কেটে নেবেন। পা কেটে নেবেন। গ্রামের মানুষকে দিয়ে দৌড় করাবেন।” জেলা সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “৩৪ বছর উনি তো বামফ্রন্টে ছিলেন, উনি জানেন বামফ্রন্ট আমলে কী হয়েছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তৃণমূলে গিয়েছেন। এসব বড় বড় কথা নীতিহীন লোকেদের মুখে মানায় না।”
মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, “রাজ্য এবং কেন্দ্রে যারা ক্ষমতাসীন তাঁদের মধ্যে কুকথার প্রতিযোগিতা চলছে। হিংসা এবং বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ভীতি ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে।”