বিক্রম রায়, কোচবিহার: “দল, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক থাকবে,” সাংবাদিক বৈঠকে এবার এমন মন্তব্য করলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। জানালেন অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা। রাজ্য-রাজনীতির এই চাপানউতোরের মাঝে বিধায়কের এই মন্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোচবিহারের (Cooch Behar) জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর। পদ ছেড়েছেন তিনি। কার্যালয় থেকে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবিও সরিয়ে ফেলেছেন। দলের প্রতি, টিম পিকের প্রতি বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তবে কি পদের সঙ্গেই দলও ছাড়ছেন মিহির গোস্বামী? চলছিল কানাঘুষোও।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারী সাফাইকর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের, পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত মালদহ]
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই নাম না করে সমালোচকদের একহাত নেন তিনি। এরপর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে থাকবে। ওদের সঙ্গে আমার ৪০ বছরের সম্পর্ক। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা আমার পিতৃসম।” পাশপাশি, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে চাপানউতোর চলছে সে প্রসঙ্গে বলেন, “শুভেন্দু অনেক বড় মাপের নেতা। তাই ওকে যা মানায়, আমাকে তা মানায় না। তবে আমি আমার মতো করে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করব।”
[আরও পড়ুন: উধাও হয়ে যাওয়ার ৫ মাস পর মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে ফিরে পেলেন মা, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া]
এদিন দলবদল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফের মিহিরবাবু জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁর তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, “এক রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে অন্য দলের কারও সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করা অন্যায় নয়। এটা অত্যন্ত সাধারণ বিষয়।” যদিও দলবদলের পরিকল্পনা নেই বলে জানালেও এদিন মিহিরবাবু সাফ বলেন, অমিত শাহের তরফে ডাক পেলে নিশ্চয়ই তাতে সাড়া দেবেন তিনি, দেখা করবেন। আর এটাই দলত্যাগের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন সমালোচকরা।