সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পায়ে পায়ে ৩৭।
সাঁইতিরিশে পা দিলেন বর্তমান বিশ্বফুটবলের অন্যতম মহাতারকা লিওনেল মেসি। তাঁর জন্মদিনে গোটা বিশ্বের ভক্তকূল যখন আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক তখন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মগ্ন অনুশীলনে। সামনেই রয়েছে কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় ম্যাচ। বুধবার ভোরে চিলির বিরুদ্ধে নামছেন এলএম টেন। কোপার ম্যাচের আগে অধিনায়কের জন্মদিন ঘিরে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে রয়েছে আর্জেন্টিনা শিবির। মেসির (Leo Messi) শহর বুয়েনস এয়ারসেও চলছেন মহানায়কের বন্দনা। শুধু আর্জেন্টিনা কেন, গোটা বিশ্বেই চলছে ফুটবল রাজপুত্রের জন্মদিনের উৎসব। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা। জন্মদিনের মাসে কোপা আমেরিকার (Copa America 2024) মতো ফুটবল যজ্ঞ। স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনা শিবিরে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই। গত বিশ্বকাপে গোটা দেশের স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেসি। ১৯৮৬ সালের পর আরও একবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। পরের বিশ্বকাপ তিনি খেলবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তাই আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা চাইছেন যেভাবেই হোক মেসির হাতে এবারের কোপা আমেরিকা তুলে দিতে। সেটাই হবে মেসির জন্মদিনের সেরা উপহার।
[আরও পড়ুন: সবুজ-মেরুন জার্সিতে মাঠে নামতে মুখিয়ে আপুইয়া, মিজো মিডফিল্ডারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ মোলিনাও]
নিউ জার্সিতে চিলির বিরুদ্ধে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ। সেই ম্যাচের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে কানাডাকে তারা হারিয়েছে। চিলিকে হারাতে পারলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তারা এগোচ্ছে। কোপাতে চিলির শুরুটা অবশ্য মন্দের ভালো। তারা প্রথম ম্যাচে ড্র করেছে পেরুর বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তাদের বর্ষীয়ান গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। মূলত তাঁর দক্ষতার উপর ভর করেই চিলি ড্র করেছে। উল্টোদিকে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দু’গোলে কানাডাকে হারালেও মেসি এই ম্যাচে নিজের দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। তবে এই নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন আর্জেন্টিনার প্রশিক্ষক লিওনেল স্কালোনি। কোপা আমেরিকায় চিলির বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা কখনও নির্ধারিত সময়ে পরাস্ত হয়নি। কিন্তু ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের কোপা ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে পরাস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। চিলির দিয়েগো ভালদেস গত ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় আছে। চিলির ফরোয়ার্ড লাইনে ভিক্টর ডাভিলা, অ্যালেক্সিস স্যাঞ্জেজ এবং এরিক পুলগারের মতো ফুটবলার আছেন। কিন্তু পেরুর বিরুদ্ধে স্যাঞ্চেজ সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। তবে তাদের ভরসা ৪১ বছর ৬৯ দিন বয়সী গোলরক্ষক ব্রাভো। এছাড়া রয়েছেন কোচ রিকার্ডো গারেকা। যিনি আর্জেন্টিনার ফুটবলকে হাতের তালুর মতো চেনেন।