সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) এখনও কাটেনি টিপ কাণ্ডের রেশ। তারমধ্যে ফের বিতর্কে জড়াল পুলিশ। এবার এক তরুণীর ওড়না ধরে টান দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে সমস্ত ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন নির্যাতিতা।
[আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ঢাকার নিউমার্কেট, ব্যস্ত সময়ে বন্ধ যান চলাচল, বিপাকে যাত্রীরা]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার বনানীর শেরটন হোটেলের সামনে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। ফেসবুক লাইভে সমস্ত ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছেন নির্যাতিতা। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নির্যাতিতার ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণী একটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানের সামনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে গালিগালাজ করছেন। অভিযোগ, এই ব্যক্তি নাকি তার ওড়না ধরে টান দিয়েছেন। এ সময় সেখানে সাদা পোশাকে ছিলেন দুই পুলিশ সদস্য। এসময় নির্যাতিতাকে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে গালাগাল করতে শোনা যায়। পাশে থাকা এক যুবককে তাঁর স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই মহিলা বলেন, এক পুলিশ সদস্য তাঁর স্বামীর শার্ট ছিঁড়ে ফেলেছেন। ওই যুবকও পুলিশ সদস্যদের শাসাছিলেন। অপর দিকে তারা চুপ ছিলেন। ফেসবুকে লাইভ করার আগে ওই এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই মহিলা হেঁটে যাচ্ছেন। পেছনে তার স্বামী পরিচয়দানকারী ব্যক্তির হাত ধরে দুই পুলিশ সদস্যের টানাহেঁচড়া চলছে।
এ কাণ্ডের পর পুলিশের গুলশান বিভাগের ওই দুই কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দুই কনস্টেবল পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দেহরক্ষী ও একজন গাড়িচালকের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ফেসবুকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে টিপ পরায় এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার শিকার হতে হয় এক পুলিশকর্মীর হতেই। ওই ঘটনার কথা জানিয়ে ঢাকার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ‘ইভটিজিং’ এবং ‘প্রাণনাশের চেষ্টা’র অভিযোগ করা হয় ওই জিডিতে। তারপরই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে গোটা দেশ। চাপের মুখে অভিযুক্তকে বরখাস্ত করা হয়।