shono
Advertisement

মুখে রক্ত উঠে মৃত্যু অস্ট্রেলিয়ার সংরক্ষিত প্রজাতির পাখির, নেপথ্যে বিষ?

কাকাতুয়ার চেয়ে ছোট কোরেলা পাখিনিধন অস্ট্রেলিয়ায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ The post মুখে রক্ত উঠে মৃত্যু অস্ট্রেলিয়ার সংরক্ষিত প্রজাতির পাখির, নেপথ্যে বিষ? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:28 PM Jul 12, 2019Updated: 07:28 PM Jul 12, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষক্রিয়া? নাকি পক্ষীবধের অন্য কোনও হাতিয়ার? অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সংরক্ষিত প্রজাতির শ’খানেক পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যু এই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে৷ প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর পক্ষীবিশারদদের অনেকেরই অনুমান, বিষের প্রভাবেই কোরেলা নামের পাখিগুলির এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতি৷  

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাবমেরিনে মাদক পাচার রুখে দিলে মার্কিন সেনা, দেখুন রোমহর্ষক অভিযানের ভিডিও]

কোরেলা আসলে কাকাতুয়া প্রজাতির একটি পাখি৷ আকারে ছোট, চেহারাতেও সামান্য হেরফের আছে৷ গত সপ্তাহ থেকে দেখা গিয়েছে, ছোট-বড় নানা আকারের কোরেলা প্রজাতির প্রচুর পাখি মরে পড়ে আছে৷ দেখে মনে হচ্ছে যেন আচমকাই আকাশ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে৷ কেউ আবার মাটিতে পড়ে ছটফট করছে, কারও আবার ঠোঁটের কাছে রক্ত৷ নয় নয় করে অন্তত ৬০টি পাখির এভাবে মৃত্যু হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে পক্ষীবিশারদদের অনুমান, কোনও বিষের প্রভাবেই এভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ছে পাখির দল৷ কিন্তু কীভাবে পাখির শরীরে বিষ ঢুকছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণা করতে পারছেন না তাঁরা৷

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এক পক্ষী উদ্ধার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সারা কিংয়ের কথায়, ‘দৃশ্যটা পুরো ভৌতিক সিনেমার মতো৷ সাদা পাখিগুলো পাশাপাশি সব উলটে পড়ে রয়েছে৷ ওড়ার শক্তি হারিয়েছে, ব্যথায় ছটফট করছে৷ এখানে এরকম ঘটনা আমরা আগে দেখিনি৷ মনে হচ্ছে, বিষাক্ত কোনও কিছু ওদের শরীরে ঢুকেছে৷’ সারা আরও জানিয়েছেন, ওই অবস্থাতেই কয়েকটি পাখিকে উদ্ধার করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বাঁচানো যায়নি৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নড়েচড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রক৷ পাখিমৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে ময়নাতদন্তের বিস্তারিত রিপোর্টের জন্য সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে৷

[আরও পড়ুন: ‘কিডনির জন্য হৃদপিণ্ডে বিশেষ জায়গা রয়েছে’, ভুল মন্তব্যে ফের হাসির খোরাক ট্রাম্প]

লম্বা ঠোঁটের কোরেলা পাখি অস্ট্রেলিয়ায় সংরক্ষিত প্রজাতির৷ আর ছোট ঠোঁটের পাখিগুলিকে মারা একেবারেই নিষিদ্ধ৷ আইনে শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে৷ জরিমানা কিংবা কারাবাসও হতে পারে৷ এই পরিস্থিতিতে বিষ দিয়ে পাখি মারার বিষয়টি আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে পক্ষীবিশারদদের৷ আর তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তাঁরা৷ কারণ, যদি বোঝা যায় কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ দিয়ে পাখিগুলিকে মেরে ফেলছে, সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের অনেকের মত, এবার থেকে বিষ কেনার জন্যও লাইসেন্স চালু করা উচিত৷ নিয়ম যাই হোক, এভাবে কাকাতুয়া প্রজাতির পাখিগুলোর মৃত্যুচিত্র সত্যিই হৃদয় বিদারক!

The post মুখে রক্ত উঠে মৃত্যু অস্ট্রেলিয়ার সংরক্ষিত প্রজাতির পাখির, নেপথ্যে বিষ? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement