সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার তিনদিন পরে মুখ খুললেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Accident) চালক। জানা গিয়েছে, আহত হলেও স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। বালেশ্বরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট। তিনি সাফ জানিয়েছেন, সিগনাল অনুযায়ীই ট্রেন চালিয়েছেন। স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল ট্রেনটি। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে রেলের তরফেও বলা হয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য লোকো পাইলট দায়ী নন।
দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল? করমণ্ডলের (Coromandel Express) লোকো পাইলট জানিয়েছেন, বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে সবুজ সংকেত পেয়ে তবেই ট্রেনের লাইন বদল করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে যেমন গতিতে ট্রেন চলে, দুর্ঘটনার সময়েও একই গতিতে চলছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। গতি বাড়ানোর অভিযোগ একেবারে ভুল বলেই দাবি লোকো পাইলটের। প্রসঙ্গত, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একই দাবি করেন রেল আধিকারিকও।
[আরও পড়ুন: অভিযোগ স্বীকার করতে চাপ ইডির, কুন্তলের সুরই ‘কালীঘাটের কাকু’র গলায়]
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের চালকও এদিন মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পেরনোর সময়ে আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। ট্রেনের কামরায় ঝাঁকুনি দিয়েছে বলেও বুঝতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েনি হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। ওড়িশা (Odisha) থেকে প্রায় নিরাপদেই হাওড়া পৌঁছয় ট্রেনটি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত করতে শুরু করেছে সিবিআই। বালেশ্বরের ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। অন্যদিকে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়বে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। রেলের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে আটক, অবশেষে মুক্তি ৯ ভারতীয় নাবিকের]