সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে অতিমারীকে (pandemic) আটকানো সম্ভব। সংক্রমণ ছড়ানোকে রুখে দেওয়া মানুষেরই হাতে। অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ যদি নিয়মিত নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যবহার করেন, তবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে করোনার প্রকোপ। নয়া গবেষণায় উঠে এল এমনই ইতিবাচক তথ্য।
ফিজিক্স অফ ফ্লুইডস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার তথ্য। সেখানে বিস্তারিত জানানো হয়েছে, মানুষ কী ধরনের মাস্ক পরলে এবং কতক্ষণ পরলে তা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে। গবেষকদের টিমের অন্যতম সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঞ্জয় কুমার জানাচ্ছেন, “অতিমারী রুখতে সার্জিক্যাল মাস্ক আদর্শ। এটি ৭০ শতাংশ কার্যকর। তাই ৭০ শতাংশ মানুষও যদি বাইরে বেরলে লাগাতার মাস্ক পরে থাকেন, তাহলেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়া যায়।”
[আরও পড়ুন: ‘বারবার জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত ভারতের’, ফের অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় তোপ বেজিংয়ের]
গবেষকদের কথায়, কোনও ব্যক্তি কথা বললে, গান গাইলে, হাঁচলে কিংবা কাশলে অথবা শুধু নিঃশ্বাস নিলেও সূক্ষাতিসূক্ষ ড্রপলেট মুখ থেকে নির্গত হয়। যা বেশিরভাগ সময়ই চোখে দেখা যায় না। এর মাধ্যমেই ভাইরাস (Corona Virus) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আর সেই ড্রপলেট আটকাতেই সক্ষম সার্জিক্যাল মাস্ক। ৫-১০ মাইক্রোন ড্রপলেটকে বড় তার চেয়ে কম মাইক্রোনের ড্রপলেটকে ছোট হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, ছোট ড্রপলেটই বেশি ভয়ংকর। তাহলে কাপড়, সিল্ক কিংবা N95 মাস্ক পরলেও কি একইভাবে এই ড্রপলেট রোখা সম্ভব? গবেষকদের উত্তর, এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী সার্জিক্যাল মাস্কই। স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা জরুরিকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মতো যদি বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা এই মাস্ক পরে থাকা যায়, তবেই তার ইতিবাচক ফল মিলবে। এছাড়াও হাইব্রিড পলিমার দিয়ে তৈরি মাস্কও বেশ কার্যকর বলেই জানাচ্ছে এই গবেষণা।
আগামী বছরই হাতে আসবে করোনা ভ্যাকসিন। বিশ্বজুড়ে এমন আশার আলো দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তা না আসা পর্যন্ত মাস্ক পরেই এই মারণ ভাইরাসকে রোখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এও বলেছিল, ভ্যাকসিন এলেও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করার অভ্যেস ছাড়লে হবে না। তাই ৭০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরলে যদি বিশ্বকে রক্ষা করা যায়, তাহলে মন্দ কী!