সম্যক খান, মেদিনীপুর: ভ্যাকসিনের (COVID-19 Vaccine) অভাবে সব টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হল না পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur)। গড়বেতা, বেলদা এবং খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন প্রদানের কাজই করা যায়নি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, তিনটি গ্রামীণ হাসপাতাল বাদে বাকি সব জায়গাতেই কম বেশি টিকাকরণ হয়েছে। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা আছে। সেজন্য গাড়িও পাঠানো হচ্ছে। আশা করা যায়, সোমবার থেকে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে গত বুধবার কলকাতা থেকে মাত্র ১৫ হাজার ভ্যাকসিন মেদিনীপুরে এসে পৌঁছেছে। যেখানে সোম ও শুক্রবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে টিকাকরণ করতে প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার ভ্যাকসিন লাগে। ওই দিনগুলিতে জেলায় ৭০টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ হয়। অন্যদিকে সোমবার ও শুক্রবার জেলার ২৭২ টি কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। যেখানে গড়ে ২৫ হাজার টিকাকরণ হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তার কথায়, কলকাতা থেকে যা ভ্যাকসিন এসেছে সেখানে মাত্র একদিন কোনওরকমে তা সামলানো সম্ভব।
[আরও পড়ুন: মুখে মাস্ক নেই? গ্রেপ্তারি এড়াতে পারবেন না, করোনা সচেতনতায় কঠোর বঙ্গের এই জেলার পুলিশ]
শুক্রবার অধিকাংশ জায়গাতেই যে ভ্যাকসিনের অভাবে টিকাকরণ করা যাবে না তা পরিষ্কার। বিভিন্ন কেন্দ্র ইতিমধ্যে নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়েছে। খোদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে কেবলমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ আপাতত বন্ধ থাকছে। তা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ হাজির হয়ে যাচ্ছেন টিকা নিতে। প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই প্রায় একই অবস্থা। করোনা টিকাকরণের সূচনায় যেখানে টিকা নিতে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, খোদ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেই অনীহা ছিল সেখানে এখন লম্বা লাইন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দেশের করোনা ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, ” দেশের অনেকে করোনার টিকা পাচ্ছেন না। ১৩০ কোটির মধ্যে মাত্র ১ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। এদিকে বিদেশে টিকার রপ্তানি করছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি শুধু নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে সচেতন। মানুষকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাঁর।”