শান্তনু কর ও সুমিত বিশ্বাস: বাঙালি ভ্রমণপিপাসু। দু’দিনের ছোট্ট ছুটিতেও বেরিয়ে পড়তে চান তাঁরা। বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে সবুজের কোলে কিংবা পাহাড়ের গাম্ভীর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন বাঙালি। অথচ গত প্রায় দু’বছর ধরে ছবিটা একেবারে অন্যরকম। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন ঘরেই বেশীরভাগ সময় কাটছে আমজনতার। তবে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ার পর কেউ কেউ বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানতে হবে একগুচ্ছ শর্তাবলী। দিঘা, দার্জিলিং, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের পর ডুয়ার্সের পর্যটকদের জন্যও নির্দেশিকা জারি করল জলপাইগুড়ি প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ডুয়ার্সে (Dooars) বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোভিড আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা করাতে হবে বেড়াতে আসার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে। তবে যে সমস্ত পর্যটকের কোভিড টিকাকরণে (Covid Vaccination) দু’টি ডোজ হয়ে গিয়েছে। ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট থাকলে আর আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, এই নির্দেশিকার ফলে পর্যটক এবং হোটেল ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ, দার্জিলিং, ডুয়ার্স একসঙ্গে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন বহু পর্যটক। সেক্ষেত্রে তাঁদের পক্ষে ৪৮ ঘণ্টা আগের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট দেখাতে সমস্যা হবে। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: একাধিক সমস্যা, করোনা পরীক্ষা শিবির চালুর পরই বন্ধ দিঘার হোটেলগুলিতে]
রাজ্যের বিধিনিষেধ একটু শিথিল হতেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বীরভূমের শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) এবং তারাপীঠ (Tarapith) ও পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় (Digha) ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন মানুষজন। এঁদের মধ্যে রাজ্যের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনই রাজ্যের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরাও রয়েছেন। আর এতেই আতঙ্ক বেড়েছিল জেলায়। কারণ জেলার বাইরে থেকে পর্যটক আসার ফলে করোনা আবার নতুন করে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর সেই কারণেই প্রথমে পর্যটকদের জন্য কোভিড টেস্টের রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করেছিল বীরভূম প্রশাসন। পরবর্তীতে একই নিয়ম জারি হয় দিঘা এবং দার্জিলিং, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ক্ষেত্রেও। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ডুয়ার্স।