সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদী জনতা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেনাশাসকদের অত্যাচার। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে আঁধারে ডুবে যায় গোটা দেশ। একইসঙ্গে, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আরও এক গণতন্ত্রকামীর।
[আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহার! চিনা প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের]
এদিন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে ইয়াঙ্গনের বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে ফেসবুকে জানানো হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। বিকেল চারটের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে ইয়াঙ্গনে। তবে বাকি শহরগুলিতে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানানো হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে। ‘Yangon Electricity Supply Corporation’-এর দাবি একটি যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ‘গ্রিড ফেল’ হয়ে যাওয়ায় এই বিপর্যয়। তবে যুক্তি মানতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমিয়ে রাখতে এবার ছলচাতুরি করছে সেনা। বিদ্যুৎ যোগাযোগ ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেটে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, আজ মান্দালয় শহরে সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কয়েক হাজার ইঞ্জিনিয়ার। নেত্রী আং সান সু কি’র মুক্তির দাবি জানান তাঁরা। সেখানেই একটি মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ফের গুলি চালায় পুলিশ। ফলে মৃত্যু হয় বছর ছাব্বিশের এক যুবকের।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন। কিন্তু আন সাং সু কি-পন্থীদের দমনে মরিয়া সে দেশের সেনা। সেই উদ্দেশে নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা। সেনা ও পুলিশের গুলিতে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ জনের। এদিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন এনএলডি নেত্রী আং সাং সু কি-র আইনজীবী হিন মাউং জ। তাঁর আশঙ্কা, সু কি-কে নতুন ভাবে আইনি জালে জড়াতে পারে সেনা। সম্প্রতি সু কি-র বিরুদ্ধে সেনা যে নতুন দুই অভিযোগ এনেছে, সেই মামলায় চলতি সপ্তাহেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন মায়ানমারের গণতান্ত্রিক এই নেত্রী।