shono
Advertisement
Calcutta HC

কার শুক্রাণুতে সন্তান? IVF ক্লিনিকের 'প্রতারণা'র বিরুদ্ধে হাই কোর্টে দম্পতি

অভিযোগ, শিশুর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের ‘বোন ম্যারো’র কোনও মিল নেই। মেলেনি ডিএনএ-ও।
Published By: Sayani SenPosted: 11:11 PM Mar 25, 2025Updated: 11:11 PM Mar 25, 2025

গোবিন্দ রায়: 'টেস্ট টিউব বেবি' নিয়ে প্রতারণার শিকার সল্টলেকের এক দম্পতি। অভিযোগ, শিশুর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের ‘বোন ম্যারো’র কোনও মিল নেই। শুধু তা-ই নয়, ডিএনএ-ও মেলেনি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এক দম্পতি। চলতি সপ্তাহেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বিয়ের প্রায় দশ বছর কাটলেও নিঃসন্তান ছিলেন সল্টলেকের ওই দম্পতি। তাই বাধ‌্য হয়ে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তাতেই এক বেসকারি ক্লিনিকের প্রতারণার শিকার হন বলে অভিযোগ। দম্পতি জানান, পরপর দু’বার আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও হয়নি। তৃতীয়বারের চেষ্টা সফল হয়। কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তবে জন্মের পর থেকেই রোগে ভুগতে শুরু করে শিশুটি। চিকিৎসার জন‌্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, ওই শিশুকন‌্যা ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুর চিকিৎসা সম্ভব একমাত্র ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট’ পদ্ধতিতে।

সে সময়ই ওই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখতে পান শিশুর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের ‘বোন ম্যারো’র কোনও মিল নেই। শুধু তা-ই নয়, ডিএনএ-ও মিলছে না। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ২০২৩ সালে মাত্র চার বছর বয়সে মৃত্যু হয় শিশুটির। যা নিয়ে আগে সংশ্লিষ্ট ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কমিশন সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই ক্লিনিকেরই গাফিলতি বলে জানায়। একই সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। যদিও ওই দম্পতির বক্তব্য, ক্ষতিপূরণ কী হবে। আমরা টাকা চাই না, যে ক্লিনিকের প্রতারণার কারণে তাঁরা সন্তানহারা হলেন, তার শাস্তি চান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • 'টেস্ট টিউব বেবি' নিয়ে প্রতারণার শিকার সল্টলেকের এক দম্পতি।
  • অভিযোগ, শিশুর সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের ‘বোন ম্যারো’র কোনও মিল নেই।
  • শুধু তা-ই নয়, ডিএনএ-ও মেলেনি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ এক দম্পতি।
Advertisement