সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ৭৮০ মিলিয়ন করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও লাগাম টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। বরং নিউ নর্মালে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। ভারত-সহ একাধিক দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সংক্রমণ। আর তাই ফের অতিমারী নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
WHO প্রধান টি এ ঘেব্রেয়েসুস এদিন বলেন, “করোনা বিদায় নিতে ঢের দেরি। কিন্তু একে দূর করার অস্ত্র আমাদেরই হাতে। সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকেই আরও সচেতন হতে হবে।”
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে ইসলামাবাদ! বিশ্বের ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশে’র তালিকায় ঠাঁই হল পাকিস্তানের]
২০১৯ সালে চিনের ইউহান শহরে প্রথমবার করোনা (Corona virus) হানা দিয়েছিল। যেখানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ মানুষ। চলতি বছর জানুয়ারিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল করোনা। তার উপর টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর ক্রমেই করোনা মুক্তির পথে এগোচ্ছিল বিশ্ব। কিন্তু সংক্রমণের ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করাই কাল হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে বাড়ছে অবহেলা। একটা বড় অংশের মানুষ মাস্ক পরাই বন্ধ করে দিয়েছেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, কিছুই আর মানা হচ্ছে না। আর এই কারণেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম উপায় টিকাকরণ। কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। আর সেই কারণেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো নিয়মগুলি মানতে হবে। পাশাপাশি টেস্টিং ও ট্রেসিংয়ের কাজও চালিয়ে যেতে হবে। করোনা আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া আবশ্যক।
WHO প্রধানের আরও একটি মন্তব্য গভীর করছে কপালের ভাঁজ। তিনি জানাচ্ছেন, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঠিক কতটা সুদূর প্রসারী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অল্পবয়সিদের অনেকে মনে করে, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ফলে কোভিডবিধি না মানার প্রবণতাও তাদের বেশি। কিন্তু তাদের অনেককেই দীর্ঘদিন ভুগতে হয়েছে। তাই এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।