সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় মর্মাহত দেশ। এখনও শুকোয়নি রক্তের দাগ। এহেন সময়ে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কোল্লাম-চেন্নাই এক্সপ্রেস। এক রেলকর্মীর তৎপরতায় বিপদ কেটে যায় বলে খবর।
জানা গিয়েছে, কোল্লাম-চেন্নাই এক্সপ্রেসের একটি কামরার তলায় ফাটল ধরা পড়ে। বরাত জোরে বিষয়টি নজরে আসে এক রেলকর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে ওই কামরাটি বদলে ফেলা হয়। রবিবার বিকেলে তামিলনাড়ুর সেনগোত্তাই স্টেশনে রুটিন পরিদর্শনের সময় কামরার তলায় ফাটলটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নজরে না এলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা রেলকর্মীদের। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ রেল জানিয়েছে, কর্তব্যে তৎপরতার জন্য ওই রেলকর্মীকে পুরস্কৃত করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘মোষ জবাই হলে, গরু কেন নয়’, প্রশ্ন কর্ণাটকের কংগ্রেস মন্ত্রীর]
এদিকে, দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টার টানা চেষ্টায় ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বাহানাগা। রবিবার রাতে শুরু হয় ট্রেন পরিষেবা। পরপর দু’টি মালগাড়ি এবং আপ লাইনে একটি ট্রেন চালানো হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রেললাইনের কাজ দেখভাল করেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেন চালুর পর আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। মৃত ও আহতদের নিয়ে কথা বলার সময় কার্যত কেঁদে ফেললেন রেলমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৮ জন। তারপর থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। মৃত এবং আহতদের উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ট্রেন লাইন মেরামতির কাজ। অন্তত ১০০০ জনের চেষ্টায় একান্ন ঘণ্টার মধ্যে মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে কার্যত কেঁদেও ফেলেন রেলমন্ত্রী। এহেন পরিস্থিতিতে অল্পের জন্য বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদিকে, রেলের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে বহু প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: দেশে নেই সোনিয়া-রাহুলরা, পাটনায় নীতীশ কুমারের ডাকে বিরোধী বৈঠক পিছোল]