সুকুমার সরকার, ঢাকা: শীতের সকালে ঘন কুয়াশার জেরে বড় বিপত্তি ঘটল পদ্মায়। বাস-ট্রাকসহ কয়েকশো যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় একটি ফেরি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। ইতিমধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে কয়েকহাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এতেই ঘটে বিপত্তি। ওই সময়ে নৌরুটে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে যানবাহন ও যাত্রীবাহী একটি ফেরির। এনিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মহম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, “ঘন কুয়াশার কারণে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে যায়। ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।”
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা হতেই সম্পর্কে ‘না’ প্রেমিকের! অপমানে চরম সিদ্ধান্ত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর]
এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পদ্মাপাড়ের গোয়ালন্দঘাট থেকে কিছু দূরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরিটি ডুবে যায়। প্রাণভয়ে আর্তচিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার রাত দুটো থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। বুধবার সকালেও এসব রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পাটুরিরা ৫ নম্বর ঘাটের কাছে থাকা রজনীগন্ধা নামে ফেরিটি পদ্মায় ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেক যাত্রী। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।