সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৬১ দিন আগে প্রথমবার ভারতের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলা হল না বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণের। ইংল্যান্ড সফরের পুরোটাই দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। কিন্তু রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার পর তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করা হল না বঙ্গ ক্রিকেটারের। অস্ট্রেলিয়ার পর ইংল্যান্ড সফর থেকেও খালি হাতেই ফিরছেন তিনি।
বছর তিনেক আগে প্রথমবার টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন অভিমন্যু। মূলত ব্যাকআপ ওপেনার হিসাবেই স্কোয়াডে রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু ব্যাকআপ থেকে প্রথম দলে খেলার দূরত্বটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অভিমন্যু স্কোয়াডে ঢোকার পর ১৫ জন ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে। সেই তালিকায় রয়েছেন কেএস ভরত, সূর্যকুমার যাদব, যশস্বী জয়সওয়াল, ঈশান কিষান, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রজত পাটিদার, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেল, দেবদত্ত পাড়িক্কাল, নীতীশ কুমার রেড্ডি, হর্ষিত রানা, সাই সুদর্শন, অংশুল কম্বোজরা। বাংলার হয়ে খেলা দুই পেসার মুকেশ কুমার এবং আকাশ দীপেরও টেস্ট অভিষেক এই সময়ের মধ্যেই।
কিন্তু ২০২২ থেকে অপেক্ষা করেও শিকে ছেঁড়েনি ২৯ বছর বয়সি অভিমন্যুর কপালে। ৩০টি টেস্টের স্কোয়াডে থেকেছেন তিনি। কিন্তু ওপেনাররা ব্যর্থ হলেও ঈশ্বরণের কথা ভেবে দেখা হয়নি। তার বদলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই দুরন্ত ব্যাটিং করে ওপেনার হিসাবে জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলেছেন যশস্বী। অন্য়দিকে, রোহিতের অবসরের পর ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন কেএল রাহুল। আপাতত ওপেনার হিসাবে ভারতীয় দলে তাঁর জায়গাও পাকা। অ্যান্ডারসন-তেণ্ডুলকর ট্রফির আগে ইংল্যান্ড এ দলের হয়েও সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি অভিমন্যু। সেই কারণেই ইংল্যান্ডে ওপেন করার সুযোগ পান রাহুল, সেটার সদ্ব্যবহারও করেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট যদি অভিমন্যুকে টেস্টের জন্য 'অযোগ্য' মনে করে, তাহলে কেন তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না? অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড মিলিয়ে টানা ১০টা টেস্ট খেলেছে ভারত। যদি টানা ১০টা টেস্টেও অভিমন্যুকে খেলানো না হয়, তাহলে তাঁকে দলের সঙ্গে বয়ে বেড়ানো অর্থহীন। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে যাঁর ২৭টা সেঞ্চুরি রয়েছে, তিনি কি একটাও সুযোগ পাওয়ার যোগ্য নন? আট বছর পর করুণ নায়ারকে আবার মাঠে নামাতে পারে যে ম্যানেজমেন্ট, তারা কি ২৯ বছর বয়সি প্রতিভাকে সুযোগ দিতে পারে না? উঠছে প্রশ্ন।
