আলাপন সাহা: অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় আড়াই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উইকেট আসেনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই চেনা কুলদীপ যাদবকে (Kuldeep Yadav) পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তান ব্যাটিংকে আগাগোড়া চাপে রেখে যান তিনি। সঙ্গে তিন উইকেট নেন। যে পারফরম্যান্স কুলদীপের কাছে অবশ্যই বাড়তি তৃপ্তির। তবে একটা সময় কুলদীপ নিজেই বুঝতে পারছিলেন না আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পুরো ফিট হতে পারবেন কি না।

পাকিস্তান ম্যাচ শেষে ভারতীয় 'চায়নাম্যান' বলছিলেন, "জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে এক্ষেত্রে আমি বিশেষ কৃতিত্ব দেব। রজনীর কাছে (জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ট্রেনার) আমি ট্রেনিং করতাম। ধনঞ্জয়ভাই আমাদের ফিজিও ছিল। নীতিনভাইয়ের (প্যাটেল) অধীনে পরিশ্রম করতাম। সে সময় একটা দিনও ব্রেক নিইনি। দু'দিন ছুটি ছিল। আমাকে আবার ডেকে নেওয়া হয়েছিল। নিজের ফোকাস ঠিক রেখেছিলাম। জানতাম, একটুও দেরি করলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিস হয়ে যাবে। ভাবতে পারিনি যে এই সময়ের মধ্যে পুরো ফিট হয়ে যাব।"
পাকিস্তান ইনিংসের শেষ দিকে একটানা বোলিং করে যান কুলদীপ। সাধারণত স্লগ ওভারে স্পিনারকে বল করতে খুব একটা দেখা যায় না। তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিল। আর সেটা কুলদীপকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। মিক্সড জোনে কুলদীপ বলছিলেন, "উইকেট যেরকম ছিল, তাতে শেষ দশ ওভারে স্পিনারের বিরুদ্ধে বড় শট খেলা বেশ কঠিন হচ্ছিল। রোহিতভাইও দেখলাম, একমত। পিচ বেশ স্লো ছিল। আমিও বোলিংয়ে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম। গতির হেরফের করছিলাম।"
ইদানিং বিশ্ব ক্রিকেটে একটা প্রবাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই বিরাট কোহলি রান করবেনই। আর বোলিংয়ে তা কিছুটা কুলদীপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপে পাঁচ উইকেট একাই শেষ করে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। দু'বছর আগে দেশের মাঠে বিশ্বকাপে একইরকম দাপট দেখিয়েছিলেন। রবিবার দুবাইয়েও ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে কুলদীপের ভালোরকম ভূমিকা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উঠতে কিছুটা লাজুক কুলদীপ। বলছিলেন, "পাকিস্তান বড় ম্যাচ। নিজেকে শুধু একটা কথাই বলি যে, এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে হবে।"