সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাত ভেঙে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই নাচতে বাধ্য হচ্ছেন চিয়ারলিডার। স্লিংয়ে হাত ঝোলানো অবস্থাতেই গানের তালে তালে নাচ করছেন- এই ঘটনার ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। কতখানি অমানবিক হলে একজন অসুস্থ মানুষকে নাচতে বাধ্য করা যায়, প্রশ্ন নেটিজেনদের মনে। সোমবারের ম্যাচে এই ঘটনার পরে বিসিসিআইয়ের (BCCI) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সোমবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। সেই ম্যাচের সময়েই দেখা যায়, হাতে কালো স্লিং ব্যাগ বেঁধে পারফর্ম করছেন এক চিয়ারলিডার (Cheerleader)। হায়দরাবাদের অন্য নর্তকীদের সঙ্গে সমান তালে নেচে চলেছেন তিনি। এক হাতেই পমপম নিয়ে পারফর্ম করছিলেন ওই বিদেশী চিয়ারলিডার।
[আরও পড়ুন: জামা মসজিদের নিচে কৃষ্ণমূর্তি! হিন্দু ট্রাস্ট্রের মামলা গ্রহণ করে বিশেষ নির্দেশ আদালতের]
ম্যাচের শুরুর দিকেই এই নর্তকীর ছবি প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই বিসিসিআইয়ের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেন ভাঙা হাত নিয়ে ওই নর্তকীকে মাঠে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল? সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষই বা কেন ওই নর্তকীকে পারফর্ম করতে বলল? এরকমই প্রশ্নে ভরে যায় নেটদুনিয়া। লজ্জাজনক এই ঘটনার পরে বোর্ড বা ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওই নর্তকীর সুস্থতা নিয়েও কিছুই জানা যায়নি।
অমানবিক এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে একাধিক মিমও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন বলেন, "আইপিএল পারফরম্যান্সের জন্য এমনিতেই নীচের সারিতে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবার মানবিকতার দিক থেকেও নীচে নেমে গেল তারা।" আরেক ক্রিকেটপ্রেমীর মতে, "সানরাইজার্স ব্যাটাররা অবশ্য অসুস্থ চিয়ারলিডারকে খুব বেশি পরিশ্রম করায়নি। কারণ আনন্দে নেচে ওঠার মত কিছুই করেনি হায়দরাবাদ ক্রিকেটাররা।"