সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজের উত্তাপের চেয়েও বেড়ে গিয়েছে ডিউক বল বিতর্ক। সময়ের অনেক আগেই ডিউক বলের আকৃতি খারাপ হয়ে যাচ্ছে, এই নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে ভারতীয় দল। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরও তুলোধোনা করেছেন ডিউক বলকে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ডিউক বল প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, বল খতিয়ে দেখা হবে এরপর থেকে।
লর্ডসে দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ৮০তম ওভারে। সেই বলে মাত্র ১০ ওভার খেলা হয়েছিল। তারপরই বলের যা অবস্থা দাঁড়ায়, তাতে রীতিমতো অসন্তুষ্ট ভারতীয় শিবির। ডিউক বল তখন পুরনো বলের মতো আচরণ করছে। কেবল ভারত নয়, বিকৃত হয়ে যাওয়া ডিউক বলের জেরে সমস্যায় পড়েছে ইংল্যান্ডও। তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলের সমালোচনায় মুখর ব্রিটিশ মিডিয়া। বিতর্ক আরও বাড়িয়ে গাভাসকর বলেছেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা ভারতে ঘটত, তাহলে ব্রিটিশ মিডিয়া এতক্ষণে রে রে করে ছুটে আসত।"
তবে পালটা দিয়েছে ডিউক বল প্রস্তুতকারী সংস্থা। ডিউক বলের নির্মাতা দিলীপ জাজোদিয়ার বক্তব্য, “বিশ্ব ক্রিকেটে তিনটি সংস্থা বল তৈরি করে- ডিউক, এসজি ও কোকাবুরা। বল বানানো অতো সহজ নয়, তাহলে শত শত সংস্থা বল বানাত। আমাদের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। কিন্তু আবহাওয়া কেমন থাকবে, সেটা আমাদের বল বানানোর সময় বিবেচ্য থাকে না। কিংবা ব্যাটারদের ব্যাটের ওজন কতটা, সেসব নিয়েও কোনও মাপকাঠি নেই।”
সমালোচনা সত্ত্বেও এবার ডিউক বল তৈরির প্রক্রিয়া পুরোটাই পর্যালোচনা করতে চলেছে সংস্থা। জাজোদিয়া বলেন, "বল তৈরির কাঁচামাল, চামড়ার কারখানা-সমস্ত পক্ষের সঙ্গেই কথা বলব আমরা। বল তৈরির প্রত্যেকটি পর্যায় আবারও খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বল তৈরির প্রক্রিয়ায় বদল করা হবে।" উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের তাপমাত্রা বেড়েছে, তার প্রভাব পড়ছে ক্রিকেট বলের উপরেও। সেকারণেই প্রশ্ন উঠছে ডিউক বলের আকৃতি নিয়ে।
