সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে'তে ১০২ বলে সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। রাঁচিতে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে’তে ৫২তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ‘কিং’। জানসেনের বলে চার মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। সেই জানসেনের (Marco Jansen) চোখে বিরাট (Virat Kohli) ছোটবেলার হিরো। যাঁকে তিনি টিভিতে দেখে বড় হয়েছেন। ছোটবেলার হিরোকে বল করতে কি 'অস্বস্তি'তে পড়েছেন জানসেন?
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রোটিয়া অলরাউন্ডার বলেন, "ওকে খেলতে দেখাটা সৌভাগ্যের। টিভিতে ওকে দেখে বড় হয়েছি। ওকে বোলিং করাটা মাঝেমাঝেই অস্বস্তিতে ফেলে। তবে এটা উপভোগও করি। ড্রাইভ হোক কিংবা কাট-পুল, সবতেই ও পটু।" ওয়ানডে’তে ৫২তম সেঞ্চুরির পর চেনা ভঙ্গিতে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন বিরাট। গলার আংটি চুম্বনও করেন। এরপর হাত জোড় করে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। প্রাণ সঞ্চারিত হয় গোটা স্টেডিয়ামেও। যা সিরিজের প্রথম ওয়ানডে'তে সামনে থেকে পরখ করেছেন তিনি।
২০১৭-১৮ সালে ১৭ বছর বয়সে কোহলিকে নেট বোলার হিসাবে বল করেছেন জানসেন। তাঁর মতে, কোহলির মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানরা একবার থিতু হয়ে গেলে তাদের থামানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর কথায়, "যখন আপনি বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের বল করেন, তখন ওদের আউট করা বেশ কঠিন। আমি সব সময় প্রথম ১০-১৫ বলের মধ্যেই কোনও ব্যাটারকে আউট করার চেষ্টা করি। কিন্তু একবার থিতু হয়ে গেলে তাদের থামানো কঠিন। তখন আপনাকে প্ল্যান 'বি' কিংবা 'সি' ব্যবহার করতে হবে।"
উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজ থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন জানসেন। আর রাঁচিতে দু'টি উইকেট-সহ ৩৯ বলে ৭০ রানের এক অসাধারণ ইনিংসও খেলেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। ভারতের দেওয়া ৩৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়া বাহিনী। ৩ ডিসেম্বর, রায়পুরে দুই দল ফের মুখোমুখি হবে।
