সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋষভ পন্থকে সেঞ্চুরির পর অনুরোধ করেছিলেন, সামারসল্ট করার। কিন্তু সুনীলও গাভাসকরের সেই অনুরোধ রাখেননি ভারতীয় দলের উইকেটকিপার। তাতে কী? সানি নিজেই তৈরি ছিলেন শারীরিক কসরতের জন্য। না, সেটা অবশ্যই সামারসল্ট নয়। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি পিছিয়ে আসেন।
প্রথম ইনিংসে পন্থ করেছিলেন ১৩৪ রান। সেঞ্চুরিটা এসেছিল ছক্কা মেরে। তারপর মাঠেই ‘সামারসল্ট’ বা ডিগবাজি খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন পন্থ। তবে এবার আর সামারসল্ট করেননি। ম্যাচের পর গাভাসকর খোলা মনে স্বীকার করে নেন, "আমি বলেই ফেলি, ব্যাকফ্লিপটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বয়সে সেটা করতে পারব না। কিন্তু আমি ব্যাকস্ট্যান্ড করতে পারি। সেটা করার ইচ্ছা ছিল। সেটা যদি সফলভাবে করতে পারতাম, তাহলে নিশ্চয়ই করে দেখাতাম।" ব্যাকস্ট্যান্ড অর্থাৎ হাত ও পায়ের উপর ভর দিয়ে পেট তুলে দেওয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে পন্থ সেঞ্চুরির করার পর আর সামারসল্ট করেননি। যা দেখে সম্ভবত গাভাসকর নিজেও একটু অবাক হন। ধারাভাষ্য ছেড়ে তিনি লিডসের গ্যালারিতে চলে আসেন। হাত ঘুরিয়ে পন্থকে বারবার বলেন সামারসল্ট খেতে। পন্থ যদিও রাজি হননি। বরং বলেন পরে ডিগবাজি খাবেন। অবশেষে ১৪০ বলে ১১৮ রানে আউট হন। মারেন ১৫টি চার ও তিনটি ছক্কা।
তবে নতুন সেলিব্রেশন ছিল পন্থের। ডানহাতের আঙুল ঘুরিয়ে চোখে রেখে নয়া উদযাপন তাঁর। তবে এটাকে ঠিক নয়া বলা যায় না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যামের প্রাক্তন ফুটবলার একসময় এই সেলিব্রেশনকে জনপ্রিয় করেছিলেন। ইংল্যান্ডের মাটিতেই পন্থ সেটাকে ফিরে আনলেন।