সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর লড়ছে ভারত। তৃতীয় দিনের শেষে অদম্য মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন বিরাট কোহলি ও সরফরাজ খানরা। দুজনের জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে ৭০ রান করে আউট হয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ততক্ষণে শক্ত জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে ভারত। ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন সরফরাজ খান। টেস্টে ৯০০০ রান পূর্ণ হয়ে গেলেও বহুপ্রত্যাশিত সেঞ্চুরি এল না কোহলির ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসে(IND vs NZ) ভারতের ইনিংস থেমে গিয়েছিল মাত্র ৪৬ রানে। যা দেশের মাটিতে টেস্টে সর্বনিম্ন রান। শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন বিরাট-সহ পাঁচজন। তার পর বোলিংও আশা দেখানোর মতো হয়নি। দ্বিতীয় দিনের শেষে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। রান করেছিল ১৮০। ভারতের বোলিং অ্যাটাককে নির্বিষ করে দিয়ে চারশোর উপর রান তুলে ফেলল নিউজিল্যান্ড। দুরন্ত ব্যাটিং করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাচীন রবীন্দ্র। ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ইনিংসের শেষ দিকে এসে আগ্রাসী ইনিংস খেলেন টিম সাউদি। ৬৫ রান করেন মাত্র ৭৩ বলে। নিউজিল্যান্ড তোলে ৪০২ রান। লিড ছিল ৩৫৬ রানের।
স্বাভাবিকভাবেই এত বড় রানের বোঝা নিয়ে টিম ইন্ডিয়া কীভাবে পারফর্ম করে, সেদিকে নজর ছিল ভক্তদের। কিন্তু 'চ্যাম্পিয়ন' টিমের মতোই খেলছে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো জায়গা করে দেন রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭২ রান। ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরে যান যশস্বী। ৯৫ রানের মাথায় ফের ধাক্কা। ডিফেন্স করা বল পায়ে লেগে রোহিতের স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। তখন সদ্য হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। বড় শটও খেলা শুরু করেছিলেন। তার মধ্যেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলেন।
তার পর ভারতের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও সরফরাজ খান। বিশেষ করে চার-ছক্কা হাঁকানো শুরু করলেন সরফরাজ। অন্যদিকে ইনিংস ধরে রাখার কাজটি করেন বিরাট। এরই মধ্যে টেস্টে ৯০০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন বিরাট। কিন্তু দিনের শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ভারতের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১। সরফরাজ খান অপরাজিত আছেন ৭০ রানে। ভারত এখনও পিছিয়ে আছে ১২৫ রানে।
টেস্টে প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সেঞ্চুরি নেই কোহলির ব্যাটে। এদিন আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত শতরান এল না। থেমে গেলেন ৭০ রানে। কিন্তু এরই মধ্যে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে এই তালিকায় তাঁর সামনে আছেন শচীন তেণ্ডুলকর, সুনীল গাভাসকর এবং রাহুল দ্রাবিড়।