shono
Advertisement
IND vs SA

প্রোটিয়াদের 'বদান্যতায়' বাঁচল ফলো-অনের লজ্জা, সিরিজে চুনকামের লজ্জা বাঁচাতে পারবে গম্ভীরের ভারত?

ব্যাটে-বলে-নেতৃত্বে, এমনকী ফিল্ডিংয়েও ভারতকে একহাত নিলেন টেম্বা বাভুমারা।
Published By: Arpan DasPosted: 03:12 PM Nov 24, 2025Updated: 05:16 PM Nov 24, 2025

প্রথম ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮৯/১০ (মুথুস্বামী ১০৯, জানসেন ৯৩, কুলদীপ ১১২/৪)
ভারত: ২০১/১০ (যশস্বী ৫৮, ওয়াশিংটন ৪৮, জানসেন ৪৮/৬)

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংস
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৬/০ (রিকেলটন ১৩*, সিরাজ ৮/০)
দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৩১৪ রানে।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মাটিতে ফলো-অনের লজ্জার থেকে বাঁচল পন্থের ভারত। বলা যায়, বাঁচিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। নয়তো ভারতের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও কোচ গৌতম গম্ভীরের ভুলে ভরা পরিকল্পনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের (IND vs SA) মাটিতে ফলোঅনের লজ্জা ফিরতেই পারত ভারতীয় ক্রিকেটে। গুয়াহাটিতে মাত্র ২০১ রানে থেমে গেল ঋষভ পন্থের দলের ইনিংস। যে পিচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮৯ রান করেছিল, সেখানে ভারত করল ২০১ রান। মার্কো জানসেন ব্যাটিংয়ে ৯৩ করেছেন, তারপর ৬ উইকেট নিলেন। তা বলে পিচ বদলাচ্ছে, তা বলা যাবে না। কারণ কুলদীপ যাদব ১৩৪ বল খেলে গেলেন। সোজা কথায়, ব্যাটে-বলে-নেতৃত্বে, এমনকী ফিল্ডিংয়েও ভারতকে একহাত নিলেন টেম্বা বাভুমারা। ২৮৮ রানের লিড হাতে নিয়ে ফের ব্যাট করতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় দিনের শেষে মার্করামদের রান ২৬। লিড রয়েছে ৩১৪ রানের। 

প্রথম দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পন্থ বলে যান, এই পিচ রাস্তার মতো। অর্থাৎ পাটা। সেই রাস্তায় হুড়মুড়িয়ে পড়ল ভারতের তারকাখচিত ব্যাটিং বিভাগ। না, রাস্তার দোষ নয়। গাড়ি চালাতে না পারার ব্যর্থতা। ইডেনে ডুবিয়েছিল স্পিন। এখানে স্পিন তো বটেই, তবে জানসেনের পেস ও বাউন্সের ঠিকঠিকানা খুঁজে পেলেন না কেউ। তাহলে কুলদীপ কীভাবে ১৩৪ বল খেলে গেলেন? ধৈর্য দেখিয়ে। যেটা ধ্রুব জুরেল বা পন্থ করেননি। অধিনায়কের মতো উড়ে এসে ব্যাট ছুড়ে শট মারার উলটো পথে হেঁটে লড়াই চালিয়ে গেলেন কুলদীপ (১৯)। বাদ দেওয়া যাবে না ওয়াশিংটন সুন্দরকেও (৪৮)। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন। অবশ্য তাঁকে এক ম্যাচে তিন নম্বরে, এক ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাট করানো হচ্ছে কেন, সেই উত্তর কেউই দিতে পারবেন না।

তাঁর জায়গায় যাঁকে তিন নম্বরে খেলানো হয়, সেই সাই সুদর্শনের প্রবণতাই হল বল আকাশে তোলা। ফলাফল তাঁর ঝুলিতে মাত্র ১৫ রান। রবীন্দ্র জাদেজার আউটটা একটু দুর্ভাগ্যের। কাঁধে লেগে বল ঘুরে ব্যাটে লেগে ক্যাচ হয়ে যায়। তা বলে জানসেনের বাউন্সের সামনে যেভাবে শরীর ঘুরিয়ে দিলেন, সেটাও আশ্চর্যের। একই ভাবে নীতীশ কুমার রেড্ডির অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন মার্করাম। কিন্তু পেসের সামনে তাঁর দুর্বলতা প্রকট। ভারতের হয়ে দুই টেস্ট মিলিয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি যশস্বীর।

মনে করিয়ে দেওয়া যাক, দেশের মাটিতে ২০১০ সালে শেষবার ফলো-অন হয়ে ছিল ভারত। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলের ওপেনার গৌতম গম্ভীর আজ ভারতীয় দলের কোচ। সেবার প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে ৫৫৮ রানের জবাবে ২৩৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের ইনিংস। সব মিলিয়ে ইনিংস এবং ৬ রানে হারে ভারত। যদিও এবার সেই লজ্জার হাত থেকে বাঁচল ভারত। টেস্ট সিরিজে ফের চুনকামের লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে পারবে কি?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দেশের মাটিতে ফলো-অনের লজ্জার থেকে 'বাঁচল' পন্থের ভারত। বলা যায়, বাঁচিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
  • নয়তো ভুলে ভরা পরিকল্পনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে ফলোঅনের লজ্জা ফিরতেই পারত ভারতীয় ক্রিকেটে।
  • গুয়াহাটিতে মাত্র ২০১ রানে থেমে গেল ঋষভ পন্থের দলের ইনিংস।
Advertisement