দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮৯ (মুথুস্বামী ১০৯, জানসেন ৯৩, কুলদীপ ১১২/৪)
ভারত: ৯/০ (যশস্বী ৭*, রাহুল ২*
দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৪৮০ রানে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, ঠিক তেমনই হল। গুয়াহাটিতে বড় রান তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা (IND VS SA)। ভারতীয় বোলিংকে নির্বিষ করে প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রানের পাহাড় গড়ল প্রোটিয়া দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের রান বিনা উইকেটে ৯। অর্থাৎ এখনও ৪৮০ রানে এগিয়ে টেম্বা বাভুমার দল।
প্রথম দিনের শেষে কুলদীপের দুরন্ত স্পেল ম্যাচে ফিরিয়েছিল ভারতকে। কিন্তু দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই ধৈর্যের পরীক্ষায় সফল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। সেনুরান মুথুস্বামী, কাইল ভেরেনরা এতটাই নিখুঁত খেললেন যে, চা-পানের বিরতির আগে কোনও উইকেটই পড়ল না। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে অবশ্য তাঁদের ৮৮ রানের জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ভেরেন। তাতে অবশ্য ম্যাচের গতিপ্রকৃতির কিছু বদল হয়নি।
মার্কো জানসেন নামতেই রানের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। ভারতীয় বোলিং অস্ত্রকে ভোঁতা করে নিমেষেই ৪০০ পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জানসেন একেবারে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন। এরই মধ্যে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান মুথুস্বামী। হাফসেঞ্চুরি করেন জানসেনও। শেষ পর্যন্ত ৯১ বলে ৯৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বোল্ড হলেন কুলদীপের বলে। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি। জানসেনের আগে অবশ্য সিরাজের বলে যশস্বীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ১০৯ রানে আউট হলেন মুথুস্বামী। হারমারকে ফেরালেন বুমরাহ। তবে দলের প্রয়োজনে ১০০-র উপর স্ট্রাইক রেট রেখে যে ইনিংসটা খেলেছেন জানসেন, তা তারিফযোগ্য। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের যবনিকা পড়ে ৪৮৯ রানে। ১১৫ রানে ৪ উইকেট কুলদীপের। দু'টি করে উইকেট ভাগ করে নেন বুমরাহ, সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাদেজা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ভারতের রান বিনা উইকেটে ৯। অপরাজিত রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল (৭) এবং কেএল রাহুল (২)। তবে গুয়াহাটিতে ঋষভ পন্থের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকার যেখানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, সেখানে কেন ডিফেন্সিভ ফিল্ডিং সাজালেন তিনি, তা বোধগম্য হচ্ছে না। চা-পানের বিরতির পর বহুপ্রতিক্ষিত উইকেটটি নিলেন জাদেজা। ভেরেনকে স্টাম্পড করলেন পন্থ। এরপর মার্কো জানসেন নামতেই রানের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। ভারতীয় বোলিং অস্ত্রকে ভোঁতা করে নিমেষেই বড় রানে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইতিমধ্যেই সিরিজে ১-০ পিছিয়ে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ ড্র হলে ফের একবার ঘরের মাঠে সিরিজ হারবে টিম ইন্ডিয়া।
