ভারত: ৩৫৮-৫ (বিরাট ১০২, রুতুরাজ ১০৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৬২-৬ (মার্করাম ১১০, ব্রিৎজকে ৬৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রায়পুরের শিশির ভারতের এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জয়ের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। ৩৫৮ রান তুলেও জিততে পারল না গম্ভীর ব্রিগেড। বিফলে গেল জোড়া সেঞ্চুরি। মার্করাম, ব্রেভিস, ব্রিৎজকেরা দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন প্রোটিয়াদের। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ এখন সমতায়।
বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর শেষ ৬৫ বলে মাত্র ৭৪ রান তুলেছিল ভারত। একটা সময় যে রানটা চারশোর কাছাকাছি চলে যাবে বলে মনে হচ্ছিল সেটাই আটকে গেল ৩৫৮-তে। রায়পুরের পিচ এবং শিশিরে সেই রান এই ভারতীয় বোলিং বিভাগের পক্ষে আটকানোটা যে সহজ হবে না সেটা তখনই বোঝা গিয়েছিল। হলও তাই। অবশ্য ভারতের এই হারে শুধু পরিস্থিতিকে দায়ী করা ঠিক হবে না। একই সঙ্গে দায়ী করতে হবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানাদের নিয়ন্ত্রণহীন, অসংযত বোলিংকে। অবশ্য ফিল্ডাররাও কম যান না। তাঁরাও যাচ্ছেতাই ভাবে রান গলিয়েছেন।
অথচ এদিন ম্যাচের শুরুটা দারুন করেছিল টিম ইন্ডিয়া। বুধবারও টস হারেন রাহুল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে যান দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং রোহিত শর্মা। তারপর ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন সেঞ্চুরি হাঁকানো দুই তারকা-বিরাট এবং রুতুরাজ। ১৯৫ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। এদিন আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন রুতুরাজ। তবে ৮৩ বলে ১০৫ রানে শেষ হয়ে যায় তাঁর ইনিংস। রুতুরাজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৮৪তম সেঞ্চুরিটি করে ফেলেন বিরাট কোহলিও। ৯৩ বলে তাঁর সংগ্রহ ১০২ রান। সেসময়ে রানের গতি প্রতি ওভারে প্রায় সাড়ে সাতের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তুলে আনেন অধিনায়ক রাহুল। তিনি ব্যাট করতে নামেন পাঁচ নম্বরে। রাঁচিতে ৬০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। রায়পুরে ৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। কিন্তু বিরাট আউট হওয়ার পর থেকেই ভারতের রানের গতি কমতে থাকে। নিজের ভুলে রান আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর (১)। তারপর ব্যাট করতে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু ২৭ বল খেলে মাত্র ২৪ রান করেন তিনি। ভারতের চারশো রান তোলার স্বপ্ন ওখানেই শেষ। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৩৫৮ রান।
তখনই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, এই পরিস্থিতিতে রানটা যথেষ্ট নয়। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। ২৬ রানে প্রোটিয়াদের প্রথম উইকেট পড়লেও দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতেই হয়ে যায় সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ। অধিনায়ম বাভুমা ৪৬ রানে আউট হলেও অন্যদিকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেন মার্করাম। মাত্র ৯৮ বলে ১১০ রান করেন তিনি। কিন্তু মার্করামের উইকেটের পরও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। মিডল অর্ডারে ম্যাথু ব্রিৎজকে এবং ডেওয়াল্ড ব্রেভিস দুজনেই অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ব্রিৎজকে করেন ৬৮ রান। মাত্র ৩৪ বলে ৫৪ করেন ব্রেভিস। ওই দুই ব্যাটারের ইনিংসেই ভারতের হাতের বাইরে চলে যায় খেলা। শেষ পর্যন্ত চার বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
