সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল দূষণের জেরে ভেস্তে গেল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-২০। নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বারবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন আম্পায়াররা। কিন্তু প্রবল ধোঁয়াশায় মাঠে কার্যত কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাতিল হল বুধবারের ম্যাচ। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ খেলা হবে আহমেদাবাদে। উল্লেখ্য, বুধবার লখনউয়ে বায়ুদূষণের মাত্রা প্রায় ৪০০ ছুঁয়ে ফেলেছিল।
একদিকে শীতের কুয়াশা অন্যদিকে দূষণে জেরবার দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকালে ৭টায় দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৩৭৭। মঙ্গলবার যা ছিল ৪৯৮। অর্থাৎ গতকালের থেকে আজকের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। তবে সামগ্রিক ভাবে দিল্লির বাতাসে দূষণের প্রাবল্য কমেনি। বাড়ছে উদ্বেগ। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বাতিল হয়েছে অন্তত ১০টি বিমান।
দিল্লির মতোই গুরুতর পরিস্থিতি লখনউতেও। বুধবার টি-২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে নামার কথা ছিল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু ম্যাচের জন্য নির্ধারিত সময়ে লখনউয়ের একিউআই পৌঁছে যায় ৩৮৭তে। প্রবল ধোঁয়াশার মধ্য়েই অপেক্ষা করতে থাকে দুই দল। সন্ধে সাড়ে ৬টায় টস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে টস করতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব এবং এডেন মার্করাম।
নির্ধারিত সময়ের পর আড়াই ঘণ্টা ধরে মোট ৬বার মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন দুই আম্পায়ার। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া তো দূর, আবহাওয়া ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ম্যাচ বাতিল করে দেন আম্পায়াররা। প্রশ্ন উঠছে, গত কয়েকবছর ধরে শীতকালে এভাবেই দূষণে জর্জরিত হয়ে উঠছে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত। তা সত্ত্বেও ডিসেম্বর মাসে কেন লখনউয়ে ম্যাচ রাখা হল? সঙ্গে ক্রীড়াপ্রেমীদের আক্ষেপ, দূষণ রুখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অনেকেই নেটদুনিয়ায় নিজের শহরের একিউআই শেয়ার করে বলেছেন, ম্যাচ তাঁদের শহরে আয়োজন করা উচিত ছিল।
