অরিঞ্জয় বোস: জিতলে সব ঠিক। হারলেই পিচে জুজু! চলতি মরশুমে এটাই যেন দস্তুর করে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টাসের বিরুদ্ধে হারের পরও নাইট অধিনায়ক রাহানে বিঁধলেন সেই ইডেনের ২২ গজকেই! ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহানে বলে গেলেন, ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বড্ড বেশি প্রচারের আলো পছন্দ করেন। পালটা পাটকেল অবশ্য এসেছে সুজনের তরফেও।

ইডেনের পিচ নিয়ে চলতি মরশুমের শুরু থেকেই তির ছোড়াছুড়ি চলছে। প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে হারের পরই রাহানে নিশানা করেছিলেন কিউরেটর সুজনকে। নাইট অধিনায়কের বক্তব্য ছিল, বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি যেখানে হোম অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে, সেখানে কেকেআর বঞ্চিত। নাইটদের দাবি ছিল, র্যাঙ্ক টার্নার না হলেও পিচে টুকটাক ঘূর্ণি অন্তত থাকা উচিত। সুজনও সেসময় বলে দেন, ফ্র্যাঞ্চাইজির দাবি মতো পিচ বানাতে তিনি বাধ্য নন। পরে অবশ্য উপরমহলের কারও কারও হস্তক্ষেপে সমস্যা খানিকটা মেটে। সানরাইজার্স ম্যাচে নিজেদের অর্ডারমতো পিচ পেয়ে যায় নাইটরা। ওই ম্যাচ অনায়াসে জিতেও নেন রাহানেরা। এবং প্রত্যাশিতভাবেই সেদিন পিচ নিয়ে কোনওরকম উচ্চবাচ্চ করা হয়নি।
লখনউ ম্যাচেও টুকটাক স্পিন চেয়েছিলেন রাহানেরা। কিন্তু মঙ্গলবারের ইডেনে সেই ঘূর্ণি দেখা গেল না। অন্তত সানরাইজার্স ম্যাচে যে পরিমাণ ঘূর্ণি ছিল, সেটা দেখা যায়নি। আবার টি-২০ ক্রিকেটের নিরিখে দেখতে গেলে এদিনের পিচ একেবারে আদর্শ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৭০-এর বেশি রান হল। দর্শকরাও খেলা উপভোগ করলেন। কিন্তু নাইট অধিনায়কের পিচ নাপসন্দ।
ম্যাচে শেষে পিচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহানে বলে গেলেন, "আমি যদি পিচ নিয়ে কিছু বলি সেটা নিয়ে বিরাট বিতর্ক হবে। আসলে ইডেনের পিচ কিউরেটর প্রচারে থাকতে পছন্দ করেন।" রাহানে যেমন সোজাসুজি সুজনকে নিশানা করে তির ছুড়লেন, সুজন অবশ্য সেই সোজা পথ নিলেন না। খানিক শ্লেষের সুরে তাঁর জবাব, "মানুষ তো খেলা দেখেছে। তাঁরাই বিচার করবেন পিচ কেমন হয়েছে।" অর্থাৎ কেকেআর হারতেই ফের গোলা ছোড়াছুড়ি। এই যুযুধান দুই পক্ষের মধ্যে যিনি মধ্যস্থতা করতে পারেন, সেই সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত নীরব।