সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ মার্চের আইপিএলের দক্ষিণী ডার্বির আগের দিনের কথা। বিরাট কোহলি (Virat Kohli)-সহ আরসিবি দল তখন প্র্যাকটিসে। এই আবহে একদল সিএসএকে সমর্থক স্ট্যান্ডে 'লাভ ইউ বিরাট' স্লোগান দিতে থাকলেন। কোহলিও তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে অটোগ্রাফ দিয়ে তাঁদের আবদার মেটালেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল, চিপকের গ্যালারিতে ম্যাচের দিনও 'বিরাট জয়ধ্বনি' উঠতে চলেছে।

হ্যাঁ, তেমনই দেখা গেল। আরসিবি যখন ব্যাট করতে নামে, গোটা চিপক তখন মাতোয়ারা। তাদের 'রাজা' বিরাট কোহলি নামছেন যে। 'বিরাট... বিরাট...' স্লোগানে মুখরিত 'হলুদ গ্যালারি'। আর পাথিরানার বাউন্স যখন বিরাটের মুখে আঘাত করে, তখন গ্যালারিতে উদ্বেগ বাড়ে। কেউ কেউ আবার সিট থেকে উঠে দূর থেকেই পরিস্থিতি তদারকি করতে থাকেন। যাই হোক, মুখে আঘাত খাওয়ার পরের বলও ছিল বাউন্সার। বিরাট অবশ্য ছক্কা হাঁকিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেন। তার পরেও প্রিয় ফ্লিক শটে বাউন্ডারি মারেন। গ্যালারিতে তখন আবারও শোনা যায় বিরাট স্লোগান। এমনকী আরসিবি'র নামেও জয়ধ্বনি ওঠে।
এরপর অন্য দৃশ্য। চেন্নাই সুপার কিংস তখন ৯৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। আরসিবি'র দেওয়া বিশাল লক্ষ্য চেজ হওয়া তখন দূর কি বাত। মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) ব্যাটিংয়ে নামেন। গোটা গ্যালারি যেন মাহির সঞ্জীবনী ছোঁয়ায় জেগে ওঠে। ধোনির নামে স্লোগান দিতে থাকেন চেন্নাইয়ের দর্শকরা। এমনকী তিনি যখন ২২ গজের সামনে যান, গ্যালারিতে জ্বলে ওঠে মোবাইল টর্চ। তখন যেন তারকা বন্দনা চলছে। কিন্তু আশ্চর্যভাবে একবারও শোনা যায়নি চেন্নাইয়ের নামে স্লোগান। এমনকী রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট হতে চেন্নাই সমর্থকরা সেলিব্রেশনে মেতে উঠেছিলেন, কারণ নামতে চলেছেন ধোনি। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সিএসকে কি চেন্নাইয়ের দর্শকদের কাছে নিছকই একটা আবেগহীন নাম?
ম্যাচের আগে অম্বাতি রায়ডু উসকে দিয়েছিলেন এমনই কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তাঁরা সিএসকে’র ভক্ত হওয়ার আগে এমএস ধোনির ভক্ত। এটা বেশ পরিষ্কার। এবং সত্যও। কারণ বছরের পর বছর ধরে তাঁকে যথাযথভাবে ‘থালা’ বা নেতা বলা হয়েছে। সেটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যেখানে মানুষ তাঁর প্রেমে পাগল।... দলের জন্য গলা ফাটান। খেলোয়াড়দের সমর্থন করুন।” কিন্তু কোথায় কী! রায়ডুর কথা যে চেন্নাই দর্শকদের কানে পৌঁছায়নি, তা তো বোঝাই গেল। তাই অনেকেরই সন্দেহ, 'মাহি যুগ' শেষ হলে কি চেন্নাই সুপার কিংসের ফ্যানবেসে কি বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে?