রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ইডেনে জয় পায়নি কেকেআর। দীর্ঘ লিগ, হার-জিত তো চলতেই পারে। কিন্তু কীভাবে যেন গজিয়ে উঠেছে পিচ নিয়ে বিতর্ক (Eden Gardens Pitch Controversy)। তাতে মন্তব্য করেছেন হর্ষ ভোগলে, সাইমন ডুলের মতো ব্যক্তিত্ব। কী ব্যাপার? না, নাইট রাইডার্স নাকি ইডেনে 'হোম অ্যাডভান্টেজ' পাচ্ছে না! আচ্ছা, এই হোম অ্যাডভান্টেজ ব্যাপারটা কী? বোর্ডের কি কোনও নির্দেশিকা আছে এই নিয়ে? ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানালেন এরকম কোনও নির্দেশিকা বোর্ডের থেকে নেই।

হ্যাঁ, আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কিছুটা সুবিধা চাইতে পারে। এক জায়গায় সতেরো-আঠারো বছর ধরে খেললে একটা বোঝাপড়ার জায়গা হয়েই যায়। সেখান থেকে বড়জোর অনুরোধ চলতে পারে। কিন্তু বোর্ড কখনই এরকম 'হোম অ্যাডভান্টাজে'র নির্দেশিকা চাপিয়ে দেয় না। সুজন মুখোপাধ্যায় জানালেন, "গত কয়েক বছর ধরে পিচে ভালোই স্পিন রয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি সেটুকু অনুরোধ করে, সেটাতে অন্যায় কিছু দেখি না।"
তাহলে এত কথা উঠছে কীভাবে? নাইট অধিনায়ক রাহানেও তো এরকম উষ্মা প্রকাশ করেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন যে, পিচে আরেকটু স্পিন হলে ভালো হত!
কিন্তু পিচে তো স্পিন ছিল। আরসিবি ম্যাচে সুনীল নারিনের বল ঘুরেছে, রীতিমতো ভেলকি দেখিয়েছেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। এটাও ঠিক যে আরসিবি ম্যাচের দিন বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তাই পিচ ঢাকা ছিল। সেই কারণেই কি এত সমস্যা? সুজন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "পিচ ঢাকা থাকলে একটু আর্দ্র তো হবেই। সে কারণে প্রথম দিকে বল একটু বেশি কাট করেছে। জোরে বল করলে বল তো কাটবেই। যেটার সুবিধা পেয়েছে ক্রুণাল। রিঙ্কু সেভাবে আউট হয়েছে।"
ওদিকে যে হর্ষ ভোগলে বা সাইমন ডুলরা সমালোচনায় মুখর। এমনকী অনেকে তো বলছেন, ইডেন থেকে হোম গ্রাউন্ড সরিয়ে নিক কেকেআর। আর সেখানে রীতিমতো ছক্কা হাঁকালেন সুজন। তিনি জানালেন, "সাইমন ঢুল বা হর্ষ ভোগলে কী বললেন সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বরং বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের নিয়ে আমি বেশি ভাবি। সেটা আমজনতাও হতে পারেন। তার সঙ্গে কেকেআর কী বলল, সেটাকেও মাথায় রাখি। কিন্তু কেকেআর থেকে আমাকে পিচ নিয়ে কিছু বলেনি। তাহলে এত কথা উঠছে কীভাবে?"
সেটাই তো প্রশ্ন! এত কথা যে কীভাবে হাওয়ায় ভাসল, তা কেউই জানেন না। সুজন মুখোপাধ্যায় কিন্তু সেই সব বিতর্ককে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছেন। 'ভালো করলে লোকে কটাক্ষ করবেই', এই মন্ত্রেই 'নিন্দুকদের' জবাব দিলেন তিনি। যে যাই বলুক না কেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনেই তিনি পিচ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর।