সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল ছয় মেরে। আউট হয়ে তার চোখে জল! মাত্র ১৪ বছর বয়সে আইপিএলের মঞ্চে স্বপ্নের অভিষেক বৈভবের। তার দল রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ জিততে পারেনি। তবুও ক্রিকেট দুনিয়ার চর্চায় বৈভব সূর্যবংশী। আর এই সাফল্য একদিনে আসেনি। পিৎজা বা খাসির মাংসের মতো ভালোবাসার খাবার পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছেন। আর ব্যাট করার আগেই ঠিক করে নিয়েছিলেন, সুযোগ পেলেই ছক্কা হাঁকাবেন।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, অধিকাংশ ক্রিকেটারই তো স্বাস্থ্যসচেতন। ফিটনেস রাখার জন্য খাবারের বিষয়ে আত্মত্যাগ করেন। কিন্তু এটাও তো ভুললে চলবে না, বৈভবের বয়স মাত্র ১৪। কৈশোরের সারল্য যেন এখনও মুখেচোখে লেগে রয়েছে। হয়তো তাই আইপিএলের পেশাদার মঞ্চেও আউট হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। আর এই বয়সে দাঁড়িয়ে পছন্দের খাবার ছেড়ে 'পেশাদার' হয়ে ওঠা কম সাহসের কাজ নয়।
সেটাই জানালেন বৈভবের ছোটবেলার কোচ মানস ওঝা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "খাসির মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ডায়েট চার্টে এখন আর পিৎজাও নেই। একসময় খাসির মাংস আর মুরগির মাংস খেতে ভালোবাসত। ও তো আসলে বাচ্চা। পিৎজা খেতে খুব পছন্দ করত। আর সেই জন্যই ওকে একটু গোলগাল দেখায়।"
ম্যাচের আগেই নাকি কোচকে বলেছিলেন, সুযোগ পেলেই ছক্কা হাঁকাবেন। তিনি বলছেন, "ও খুব সাহসী ব্যাটার। লখনউয়ের বিরুদ্ধে যে ও খেলবে, সেটা দ্রাবিড় স্যর আগেই জানিয়েছিলেন। একটু চিন্তায় ছিল। আমি ওকে বলি, শান্ত হও। নিজের খেলাটা খেলো। ও আমাকে বলে, ছয় মারার বল এলেই মারব।" আর সেটা এল প্রথম বলেই। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ৩৪ রানে আউট হয় বৈভব। সেই সঙ্গে মানসের সংযোজন, "ও খুব সাহসী। তবে ছোট তো। খুব আবেগপ্রবণ। কিন্তু ওর মধ্যে যুবরাজ সিংইয়ের মতো আগ্রাসী মনোভাব আছে। আর রাহুল দ্রাবিড়কে এখন ও ভগবানের মতো দেখে।"
