স্টাফ রিপোর্টার: দু'জনের কেউ এখন আর টিমের অধিনায়ক নন। গতবার প্রথম ম্যাচের আগে হঠাৎ করেই ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিরাট কোহলিও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন বছর কয়েক আগেই। তবু শুক্রবারের চিপকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন ওই দু'জনই। ধোনি আর বিরাট। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পোস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগে থেকেই। বলাবলি চলছে, আইপিএলের অন্যতম সেরা যুদ্ধ এটাই। কিন্তু চিপকে বিরাটদের টিমের পরিসংখ্যান খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।

আইপিএলের উদ্বোধনী বছরে চিপকে সিএসকের বিরুদ্ধে জিতেছিল আরসিবি। তারপর চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে একটা ম্যাচেও হারাতে পারেননি বিরাটরা। আরসিবি ভীষণভাবে এবার সেই 'লজ্জার' পরিসংখ্যান বদলাতে চাইছে। যদিও কাজটা যে কঠিন, সেটা বিরাটরা খুব ভালো করেই জানেন।
গত কয়েক বছর ধরেই চিপককে 'দুর্গ' বানিয়ে ফেলেছেন ধোনি। প্রথম ম্যাচেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে সিএসকে। রবীন্দ্র জাদেজা রয়েছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সঙ্গে আফগানিস্তানের নূর আহমেদ রয়েছেন। চিপকের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে। ফলে চেন্নাইয়ের স্পিন ত্রয়ীকে সামলানোর কাজ বিরাটদের কাছে ভীষণ কঠিন হতে চলেছে। যদিও কেকেআরকে হারিয়ে এবার শুরুটা খুব ভালো করেছে আরসিবি। চেন্নাই-যুদ্ধের আগে যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস দেবে আরসিবিকে।
এ তো গেল বিরাটদের শিবিরের কথা। এবার সিএসকে প্রসঙ্গে আসা যাক। পুরো চেন্নাই এখন ধোনি-ম্যানিয়ায় আক্রান্ত। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আগের দিন সেটা নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ধোনি ব্যাট করতে নামার পর এমন বন্য চিৎকার শুরু হয়েছিল, যে ম্যাচের দিকে কারও তেমন নজর ছিল না। বিরাট-যুদ্ধেও ঠিক একইরকম আবেগ রয়েছে। চেন্নাই অবশ্য প্রথম ম্যাচে পেসার মাথিসা পাথিরানাকে খেলাতে পারেনি। চোট-সমস্যা ছিল শ্রীলঙ্কান পেসারের। আরসিবির বিরুদ্ধে তিনি খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পাখিরানা যদি ফিট হয়ে যান, তাহলে নাথান এলিসের জায়গায় তিনি খেলবেন।
চোট সমস্যা অবশ্য আরসিবিতেও রয়েছে। চোটের জন্য কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি ভুবনেশ্বর কুমার। চিপকের কন্ডিশনে পেসাররা শুরুতে সুইং পান। ভূবনেশ্বর থাকলে, আরসিবির পেস অ্যাটাক আরও শক্তিশালী হবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। কে আছে আর কে নেই, সে'সব নিয়ে মনে হয় না কারও খুব একটা মাথাব্যথা রয়েছে। সবাই এখন ধোনি বনাম বিরাট ডুয়েলের অপেক্ষায়।