সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু'বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রায়পুরে বিরাটের আগে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সিএসকে অধিনায়ক যখন সেঞ্চুরি করছেন, তখন উলটো দিকে বিরাট কোহলির মতো ব্যাটার। তাঁর সঙ্গে লম্বা জুটি গড়তে পেরে অভিভূত ১৮ বছর বয়সি ক্রিকেটার।
১৯৫ রানের জুটি গড়েছেন বিরাট-রুতু। যা একটা রেকর্ডও। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের আন্তর্জাতিকে এটাই যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। ভারতীয় দলের ইনিংস শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে রুতুরাজ বলেন, "বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাট করার স্বপ্ন ছিল অনেক দিন। সেই স্বপ্নপূরণ হল। জুটিটাও দারুণ হয়েছে। যখন ব্যাটিং করছি, বিরাট ভাইয়ের কাছে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আমাকে ফিল্ডিংয়ের গ্যাপ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে। এমনকী কে কেমন বল করে, কে কোন লেংথে বল করে, কার বল কীভাবে খেলতে হবে, সব কিছু ও বলে দিয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছি। আমরা ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগোচ্ছিলাম।"
তিনি আরও বলেন, "আগের ম্যাচে রান না পেয়ে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। উইকেট ভালো ছিল। কন্ডিশন আমার জন্য উপযুক্ত ছিল। সহজেই কিছু রান করতে পারতাম। গত ম্যাচে রান না পেয়ে খুব খারাপ লেগেছে। তবে আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর এখানে রান পেয়ে ভালো লাগছে।" রুতুরাজের সংযোজন, "১১ ওভারের দিকে ব্যাট করতে নামি। চার-পাঁচ ওভারের পুরনো বল পেয়েছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হবে, এই মনোভাব নিয়েই নেমেছিলাম। তবে প্রথম ১৫-২০ ওভার পর্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি ছিল। স্কোরবোর্ড সচল রাখার চেষ্টা করেছি। পিচে দু'রকম গতি ছিল। তারপর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। ব্যাট করতে আর কোনও সমস্যা হয়নি।"
বিরাটের আগে অবশ্য ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন রুতুরাজ। তবে সেঞ্চুরির পর তাঁর ইনিংস খুব একটা লম্বা হয়নি। ৮৩ বলে ১০৫ রান করে জানসেনের বলে আউট হন তিনি। রাঁচিতে করেছিলেন মাত্র ৮ রান। ব্যর্থতা ভুলে রায়পুরে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তবে রুতুরাজের সেঞ্চুরির নেপথ্যে কোহলির অবদান অপরিসীম, তা বোঝা গিয়েছিল আগেই। একাধিকবার তাঁকে নানান পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। তা যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। মাথা ঠান্ডা রেখে তাঁর ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করে নির্বাচকদের যেন বুঝিয়ে দিলেন, এবার ওয়ানডে’তে তাঁকে সহজে বাদ দেওয়া যাবে না।
