সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাঁদনাতলা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের যাবতীয় আয়োজন ছিল চূড়ান্ত। সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি, হুল্লোড়, নাচানাচি, হইচই, সবটাই হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অভাবনীয় পরিস্থিতিতে বিয়েটা হয়নি। এমনকী যে প্রেমিকের সঙ্গে তিনি ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছিলেন অন্য মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মুচমুচে গসিপ ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই বিধ্বস্ত টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধানা (Smriti Mandhana)। এই কঠিন সময়ে বন্ধুর পাশে থাকার জন্য বিগ ব্যাশ থেকে ছুটি নিলেন সতীর্থ তথা বন্ধু জেমিমা রডরিগেজ (Jemimah Rodrigues)।
গত রবিবার বিয়ের পিড়িতে বসার কথা ছিল স্মৃতির। আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা শ্রীনিবাস মন্ধানা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সাংলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পলাশকেও। যার জেরে পিছিয়ে দিতে হয় বিয়ে। অন্তত পলাশের পরিবার থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে অন্য কথাও শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে অন্য এক মহিলার সঙ্গে পলাশের মাখোমাখো চ্যাট ভাইরাল হয়েছে। তাঁদের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। কেউ কেউ বলছেন, ওই ঘনিষ্ঠতার কথা জানার পর থেকে বিধ্বস্ত স্মৃতি বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী বিয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় ছবি-ভিডিও-ও সোশাল মিডিয়া থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনার পর না প্রকাশ্যে, না সোশাল মিডিয়ায়, কোথাও দেখা মেলেনি স্মৃতির।
তিনি যে অবসন্ন এবং বিধ্বস্ত সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে বন্ধুদের পাশে থাকা কতটা জরুরি, সেটা বোধহয় আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। উপযুক্ত বন্ধু হিসাবে স্মৃতির পাশে থাকছেন তাঁর সতীর্থ জেমিমা রডরিগেজ। জেমিমা এ বছর বিগ ব্যাশে খেলছিলেন। স্মৃতির বিয়ে উপলক্ষে দিন দশেকের ছুটি নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। কিন্তু বান্ধবীর এই পরিস্থিতিতে তিনি আর ফিরতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ায়। নিজের দল ব্রিসবেন হিটকে তিনি জানিয়েছেন, বান্ধবীর পাশে থাকতে চান, তাই আর বিগ ব্যাশে খেলতে যাবেন না। জেমিমার সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে তাঁর দলও। তাঁরা ছুটি দিয়ে দিয়েছে ভারতের তারকাকে। এ জন্য অবশ্য কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে জেমিমাকে। কিন্তু বান্ধবীর জন্য সেটা তিনি মেনে নিতে রাজি।
উল্লেখ্য, বুধবারই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন স্মৃতির বাবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে স্মৃতির বাবার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। হার্টও বিপন্মুক্ত। এঞ্জিওগ্রাফিতে স্পষ্ট যে হার্টে কোনও ব্লকেজ নেই। পলাশকেও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ধানা পরিবারের সেভাবে আর দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বিয়েতেও বাধা নেই। তারপরও বান্ধবীর পাশে থাকতে ছুটি নিতে হল জেমিমাকে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, স্মৃতির মন খারাপের কারণ শুধু বাবার অসুস্থতা নয়, প্রেমিকের প্রতারণাও কারণ হতে পারে।
