স্টাফ রিপোর্টার: ৩৫৮ তুলেও ম্যাচ জেতা যায়নি। উলটে রায়পুরে রেকর্ড রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে গিয়েছে টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে সিরিজকে বাঁচিয়ে রেখে, বিরাট কোহলি-রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের জোড়া সেঞ্চুরিকে মূল্যহীন করে দিয়ে। যার পর ভারতের অস্থায়ী অধিনায়ক কেএল রাহুল বেশ মুষড়ে পড়েছেন। তাঁর মতে, রায়পুর ওয়ানডে হারের নেপথ্যে টসে হার একটা বড় কারণ হয়ে গেল।
খেলা শেষে রাহুলকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে জিজ্ঞাসা করা হয়, ৩৫৮ তুলেও হার মেনে নেওয়াটা কষ্টকর কি না? জবাবে তিনি বলেন, "না। কারণ, শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেল। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। রাঁচি ওয়ানডে-তে আমরা যথেষ্ট ভালো খেলেছিলাম। সে দিনও শিশিরভেজা বল নিয়ে বোলিং করতে হয়েছিল আমাদের। আম্পায়াররা কয়েকবার বল বদলের অনুমতিও দেন। কিন্তু রায়পুরে টস একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে গেল। উলটে আমার খারাপ লাগছে যে, পরপর দু'টো টস হারলাম ভেবে। টসটা বড় তফাত গড়ে দিচ্ছে।”
তথ্যের খাতিরে বলে রাখা যাক, টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকা (India Vs South Africa 2nd ODI) অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ভারত ৩৫৮ তোলে ঠিকই। কিন্তু তার পরেও রানটা পনেরো-কুড়ি রান কম ওঠে। রাহুল বলছিলেন, "পিছন ফিরে দেখলে মনে হতেই পারে যে, কয়েকটা জিনিস আরও ভালো করা যেত। আমরা বাড়তি কুড়ি-পঁচিশ রান তোলা নিয়ে কথাও বলেছিলাম ড্রেসিংরুমে। যাতে ভেজা বল নিয়ে বোলিং করার সময় বোলাররা একটু সুবিধে পায়। বোলাররা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। আর গোটা কুড়ি রান হলে, খেলাটা আমাদের দিকে আসতে পারত। তবে আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং আরও ভালো হতে পারত। বেশ কয়েকটা ফিল্ডিং মিস হয়েছে। বাজে চার গলিয়েছি। এমন ভুল পরের ম্যাচে করলে হবে না।"
সাধারণত রাহুল নামের ছ'নম্বরে। কিন্তু রায়পুরে নেমেছিলেন পাঁচে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সাধারণ ছ’নম্বরে নামি। এই ম্যাচে নামলাম পাঁচে। বিরাট ও রুতুরাজ দারুণ খেলছিল। গৌতি ভাই বলল, এরপর আমারই নামা উচিত। আগের ম্যাচে রান পেয়েছিলাম। তাই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেটা কাজে লাগাতে পাঁচ নম্বরে নেমেছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৩২-৩৩ ওভারের পর।" সিরিজের চূড়ান্ত ম্যাচ ৬ ডিসেম্বর, বিশাখাপত্তনমে।
