সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল বলের ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যেই অবসর ঘোষণা করেছেন রোহিত শর্মা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বিরাট কোহলিও টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন। দুই ক্রিকেটারের অবসর প্রসঙ্গে উঠে আসছে নানান তথ্য। শোনা যাচ্ছে, দুই ক্রিকেটারের প্রতি দু'রকম মনোভাব দেখিয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ৭ মে মুম্বইয়ে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিটির প্রধান অজিত আগরকরের এক বৈঠক হয়। তার পরেই টেস্ট অবসরের কথা ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা। জানা গিয়েছে, রোহিতকে নাকি অনেক আগেই নিজেদের ভাবনার কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিল বিসিসিআই। 'হিট ম্যান' যে তাঁদের টেস্ট পরিকল্পনার অংশ নন, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। এই পরিস্থিতিতে নিজে থেকে না সরলে ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁকে ক্যাপ্টেনসি থেকে সরিয়ে দেওয়া হত। কেবল তাই নয়, দলেও রোহিতকে হয়তো জায়গা দেওয়া হত না। তাই অপমানের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি অবসর নিয়ে নেন তিনি।
এরপর জানা যায়, কোহলিও দীর্ঘতম ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিসিআইকে জানিয়েছেন। তবে বোর্ড তাঁকে ইংল্যান্ড সফরের গুরুত্বের কথা বুঝে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছে। যদিও ওই সংবাদমাধ্যমের সংযোজন, এই ব্যাপারে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করতে চায় না বোর্ড। কারণ কোহলির অবসরের (Virat Kohli Test Retirement) সিদ্ধান্তটি তাঁর ব্যক্তিগত। এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছিল, বোর্ডের তরফে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কোহলিকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি কতটা কোহলিকে বুঝিয়ে উঠতে পেরেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তাঁর কথাতেও মান ভাঙেনি কোহলির। হয়তো সেই কারণেই বিষয়টা বোর্ড এবং বিরাট, দুইয়ের কাছেই ইগোর ব্যাপার হয়ে উঠেছিল।
লাল বলের ক্রিকেটে রোহিতের সাম্প্রতিক ফর্ম আহামরি কিছু ছিল না। শেষ ১০ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ১৬৪ রান। পাঁচ ইনিংসে গড় ছিল মাত্র ৬.২০। ফর্ম এতটাই খারাপ যে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির একটি ম্যাচে রোহিত নিজেকেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, অজি সফরে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো রান ছিল না কোহলিরও। এই অবস্থায় তাঁদের ইংল্যান্ড সিরিজে নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন নির্বাচকমহলের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে রোহিত অবসর নিয়েছিলেন আগেই। আর সোমবার টেস্ট ক্রিকেটকে 'গুডবাই' বলতে দ্বিধা করলেন না বিরাটও। যদিও তাঁর অবসরের পরেও একটা কথা পরিষ্কার, রোহিত এবং বিরাট দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করেছে ভারতীয় বোর্ড। এমনটা হয়েছে বলেই তো বিসিসিআই কোহলিকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বললেও রোহিতের ব্যাপারে রা কাড়েনি।
