সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আইপিএলে সবচেয়ে বড় বিতর্ক হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসে। মাঠের মধ্যেই দলের অধিনায়ক কে এল রাহুল ভর্ৎসনা করেছিলেন কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, আগামী আইপিএলে রাহুলকে আর দলে চায় না এলএসজি। মহানিলামের আগে রিটেনশনের তালিকা জমা দেওয়ার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই শোনা যাচ্ছে যে আগামী মরশুমে রাহুলকে মোটেও রিটেন করবে না লখনউ।
সূত্রের খবর, মোট পাঁচজন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে চাইছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি। গতবার প্লে অফে উঠতে পারেনি লখনউ। কিন্তু সেই দলের 'কোর'কেই ধরে রাখতে আগ্রহী টিম ম্যানেজমেন্ট। রিটেনশনের তালিকায় প্রথম নামটি হতে চলেছে নিকোলাস পুরানের। তার ফলে ১৬ কোটি থেকে তাঁর পৌঁছে যাবে ১৮ কোটিতে। ক্যারিবিয় উইকেটকিপার-ব্যাটার ইতিমধ্য়েই একাধিক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন আইপিএলে। গত মরশুমে সহঅধিনায়ক ছিলেন। তাই আগামী মরশুমে রাহুলের বদলে পুরানকে অধিনায়ক করতে পারে লখনউ। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপারের দস্তানাও থাকবে পুরানের হাতেই।
পুরান ছাড়া আরও দুই বোলারকে ধরে রাখতে চলেছে লখনউ। ভারতের হয়ে সদ্য টি-২০তে অভিষেক হওয়া ময়ঙ্ক যাদব থাকবেন দলে। গত আইপিএলে তাঁর আগুনে গতি নজর কেড়েছিল ক্রিকেটদুনিয়ার। এছাড়াও লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোইকে ধরে রাখতে পারে লখনউ। এই তিনজনই থাকবেন ক্যাপড প্লেয়ারের তালিকায়। এছাড়া আনক্যাপড হিসাবে রিটেন হতে পারেন গত তিন মরশুমে ভালো পারফর্ম করা বোলার মহসিন খান এবং ব্যাটার আয়ুষ বাদোনি। রাহুলকে রিটেন না করলেও আরটিএমের মাধ্যমে দলে ফেরাতে পারে লখনউ। একই পন্থা নেওয়া হতে পারে মার্কাস স্টয়নিসের ক্ষেত্রেও।
আগামী বৃহস্পতিবার রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে লখনউয়ের রিটেনশন নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে ভক্তদের মনে। কুইন্টন ডি'কক, স্টয়নিস, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, নবীন-উল-হক,দীপক হুডার মতো দেশি-বিদেশি তারকাদের বাদ দিয়ে একেবারে অনামী মুখের উপর ভরসা রাখছে লখনউ। পুরান এবং বিষ্ণোই ছাড়া কেউই সেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতেও দেখা যায়নি লখনউয়ের সম্ভাব্য রিটেন হওয়া ক্রিকেটারদের।