সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড (England)। তার পরেই ওয়াঘার এপার-ওপার থেকে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ডের জয়ের পরে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন মহম্মদ শামি (Mohammad Shami)। সেই সঙ্গেই খোঁচা দিয়েছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতারকে। পালটা দিয়ে নতুন করে টুইট করেছেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসও। দুই তারকার লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন নেটিজেনরাও।
ঠিক কী কারণে লড়াই শুরু হল দুই দেশের তারকা পেসারের মধ্যে? পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পরেই শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar) টুইট করে জানিয়েছিলেন, তাঁর হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। সেই টুইটের জবাবে পালটা কমেন্ট করেন শামি। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের টুইটের জবাবে তিনি লেখেন, "দুঃখিত ভাই। কিন্তু এটাই কর্মফল।" শামির এই টুইট প্রকাশ্যে আসতেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন নেটিজেনরা। লাগাতার ট্রোলের মুখে পড়া শামির পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছেন পাক ক্রিকেটার ও সমর্থকরা, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়ে যান ভারতীয় পেসার।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ থেকে ২০২২, বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের নায়ক সেই স্টোকস]
তবে বিশ্বকাপ ঘিরে যাবতীয় কটাক্ষের সূত্রপাত করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ভারত দশ উইকেটে হেরেছিল। কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে শাহবাজ বলেছিলেন, ভারতকে যে দু'টো দল দশ উইকেটে হারিয়েছে, তারাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে। সম্ভবত সেই টুইটের মধুর প্রতিশোধ নিতেই এহেন মন্তব্য করেছেন শামি। ভারতীয় ক্রিকেটারের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন পাক সমর্থকরা। তবে নেটিজেনদের কিছু অংশের সমর্থনও পেয়েছেন শামি। ভারতীয় ক্রিকেটারের টুইটের জবাবে চুপ করে থাকেননি রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসও। পাক বোলিংয়ের প্রশংসা করে একটি টুইট করেছিলেন ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে। সেই টুইটকে হাতিয়ার করে তিনিও আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ইংল্যান্ডকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম শচীন তেণ্ডুলকর। ম্যাচ হারের কারণ হিসাবে শাহিন আফ্রিদির চোটকেই দায়ী করছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটাররা। আসিফ ইকবালের মতে, শাহিন চোট না পেলে ইংল্যান্ডের পক্ষে এই ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে যেত। একই সুর মুদাসসর নজরের গলাতেও। তিনি বলেছেন, ইংল্যান্ডের সামনে খুব কঠিন টার্গেট ছিল না। তাই ম্যাচ জয়ের জন্য এগিয়েই ছিল বাটলার বাহিনী। তবে শাহিনের চোটের ফলে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের পক্ষে।