সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি আক্রমণের (Pahalgam Terror Attack) ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার দেশবাসী। ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটাররাও। বিরাট কোহলি থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন। ভারতের মাটিতে ঘৃণ্য জঙ্গিহানার ঘটনায় ক্রিকেটার মহম্মদ সিরাজের বক্তব্য, ধর্মের নামে এই হত্যাকাণ্ডে তিনি ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট বন্ধ করা উচিত।
মঙ্গলবার বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। বুধবার সকালে সরকারিভাবে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে বর্বরোচিত এই জঙ্গি হামলায় (Terror Attack) মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। নিহতদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপনের ছবি দিয়ে একটি দীর্ঘ লেখা পোস্ট করেছেন গুজরাট তারকা। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনা শুনে স্তম্ভিত। ধর্মের নামে নিরীহ মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করা শয়তানের কাজ। এদের কোনও উদ্দেশ্য নেই, কোনও ধর্ম নেই। কোনও আদর্শকে এই ঘটনার অজুহাত হিসেবে দেওয়া যায় না। এ কী ধরনের লড়াই, যেখানে মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই? আশা করি, এই জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও ক্ষমার জায়গা নেই।' পহেলগাঁওর ঘটনায় সোচ্চার আরেক পেসার মহম্মদ শামিও। ইনস্টা স্টোরিতে লিখেছেন, 'All eyes on Pahalgam। সেই সঙ্গে লিখেছেন, 'ট্যুরিস্টরা শান্তি ও সৌন্দর্যের খোঁজে আসে। সন্ত্রাসবাদের জন্য নয়। পহেলগাঁওর ঘটনা হৃদয় বিদারক ও অমানবিক।'
অন্যদিকে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'পাকিস্তানের সঙ্গে আর ক্রিকেট নয়। আর কোনও দিন খেলা উচিত নয়। যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিসিসিআই বা ভারত সরকার পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায়নি, তখন অনেকে বলেছিল, খেলাকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। এখন তারা কী বলবে? আমার মতে, এদের জাতীয় খেলা যেন নিরীহ ভারতীয়দের হত্যা করা। এবার সময় এসেছে, যে ভাষা তারা বোঝে, সেই ভাষায় উত্তর দেওয়া। মাস কয়েক আগে পহেলগাঁও (Pahalgam) গিয়েছিয়াম। সেখানকার মানুষদের দেখে মনে হয়েছিল, আবার ছন্দে ফিরছে। এখন সেখানে রক্তের দাগ। আমাদের মানুষ যখন মারা যাবে, তখন নীরব থাকা যাবে না।'
