সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে নেই তিনি। আর সেই কারণেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্য়াটে দলে ফিরতে মরিয়া যশস্বী জয়সওয়াল। তাঁর কাছে জবাব দেওয়ার মঞ্চ সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি হাঁকালেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁর এই সেঞ্চুরি যথেষ্ট বার্তাবাহক বলে মনে করছেন ক্রিকেটমহল।
প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে হেরেছিল মুম্বই। তবে রবিবার পুণের আম্বির ডিওয়াই পাতিল অ্যাকাডেমির মাঠে হরিয়ানার বিপক্ষে জয়ের সরণিতে ফিরল তারা। ১৬টি চার এবং একটি ছক্কায় সাজানো ৫০ বলে ১০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন যশস্বী। ঝোড়ো ব্যাটিং করলেন সরফরাজ খান। তাঁর সংগ্রহ ২৫ বলে ৬৪ রান। যশস্বী-সরফরাজের সৌজন্যে হরিয়ানার দেওয়া ১৫ বল বাকি থাকতেই ২৩৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই।
সৈয়দ মুস্তাক আলিতে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান যশস্বীর৷ যা এই প্রতিযোগিতায় তাঁর অভিষেক শতরান। সব মিলিয়ে পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চতুর্থ বার সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরলেন তিনি। দুর্দান্ত এই ইনিংসের পর মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তাড়া করার নজিরও গড়ে ফেলল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই তালিকায় সবার প্রথমে ঝাড়খণ্ড ঝুলিতে। শুক্রবারই তারা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল।
এদিন প্রথমে ব্য়াট করে ২০ ওভারে ২৩৪ রান তোলে হরিয়ানা। অধিনায়ক অঙ্কিত কুমার করে ৪২ বলে ৮৯। নিশান্ত সিন্ধুর সংগ্রহ ৩৮ বলে ৬৯ রান। জবাবে যশস্বীর সঙ্গে জ্বলে ওঠে সরফরাজও। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৩৭ বলে ৮৮ রান। গতবার আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাননি সরফরাজ। ১৬ তারিখ রয়েছে আইপিএলের মিনি নিলাম। তার আগে ডানহাতি ব্যাটারের মারমুখী ইনিংস তাৎপর্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, পুণেতে যশস্বী-সরফরাজের সৌজন্যে ১৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় মুম্বই। তাঁরা রান পেলেও ১০ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি অজিঙ্ক রাহানে।
এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর থেকে টি-টোয়েন্টিতে ওপেন নামছেন। শেষ ছ'টি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান যথাক্রমে ০, ৪, ২৯*, ৪৬, ১৫, ৫। দলে ফিরে আসার পর থেকে ১৪ ইনিংসে তাঁর রান মাত্র ২৬৩। গড় ২৩.৯০। স্ট্রাইকরেট ১৪২.৯৩। এরমধ্যে একটিও হাফসেঞ্চুরি নেই। তাই বলাই চলে গিলের ঘাড়ের সামনে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন যশস্বী।
