সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে তো টেস্টে পারফরম্যান্স ভালো না। তার উপর সম্পর্ক 'খারাপ' দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে গরমগরম কথা বলে দল ও নিজের সমস্যা আরও বাড়িয়েছেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এই 'খারাপ' সময়ে কী করতে হবে? অবশ্যই মাঠের পারফরম্যান্সে প্রমাণ করতে হবে। তার সঙ্গে আরও অনেক কিছু 'শিখতে' হবে গম্ভীরকে। সেটা 'শিখিয়ে' দিচ্ছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)।
কী সেই গুণ? ম্যান-ম্যানেজমেন্ট ও প্লেয়ারদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখা। আর একটি বিষয়ের কথা বলছেন শাস্ত্রী। সেটা কী? তিনি বলছেন, "যদি তোমার পারফরম্যান্স খারাপ হয়, তাহলে তোমার চাকরি যেতে পারে। তাই তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে। পাশাপাশি তোমাকে প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কীভাবে তারকাদের সামলাও সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।" সেটা করতে পারলে কী সুবিধা হবে সেটাও শাস্ত্রী বলে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, "একমাত্র এভাবেই তুমি প্লেয়ারদের উদ্বুদ্ধ করতে পারবে। আমরা তাই করি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল উপভোগ করা। কাজটাকে চাপ হিসেবে নিও না।"
রবি শাস্ত্রীর আমলে টেস্টে ‘রাজত্ব’ করেছে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দাপট দেখিয়ে এসেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। তারপর রাহুল দ্রাবিড়ও সেই ধারা বজায় রেখেছিলেন। লাল বলের ক্রিকেটে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন রোহিত শর্মারা। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে দুই গর্বই হারিয়েছে ভারতীয় দল। শাস্ত্রী এর আগেই বলেছিলেন, “আমি গম্ভীরের হয়ে সাফাই দেব না। ও ১০০ শতাংশ দায়ী। এই দুরবস্থা যদি আমার সময়ে হত, আমি দায়িত্ব নিতাম। সবার আগে এসে আমি দায় গ্রহণ করতাম। কিন্তু তারপর ড্রেসিংরুমে এসে কাউকে ছেড়ে কথা বলতাম না।”
এবার তাঁর কাজকে 'চাপ' হিসেবে দেখার মন্তব্যে অনেকের মনে পড়ছে কিছুদিন আগে এবি ডি'ভিলিয়ার্সের উক্তি। যেখানে প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা বলেছিলেন, “নেতা হিসেবে গৌতম গম্ভীর কেমন আমি জানি না। আমি ওঁকে আবেগপ্রবণ খেলোয়াড় হিসেবে জানি। যদি ড্রেসিংরুমের ক্ষেত্রেও তা হয়, তাহলে বলব সাধারণত একজন আবেগপ্রবণ কোচ থাকা ভালো নয়।” অর্থাৎ, যদি সাজঘরে গম্ভীর আবেগের অতিরিক্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটান, তবে তা দলের জন্য সমস্যার হতে পারে।
