সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুয়াহাটির উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৫০০-র কাছাকাছি রান। সেই উইকেটেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দর্প শেষ হয়ে গেল মাত্র ২০১ রানে। কিন্তু কেন এমন অধঃপতন? কুলদীপ যাদব যেখানে ১৩৪ বল খেলে গেলেন, সেখানে বাঘাবাঘা ব্যাটাররা ডাহা ফেল। এর জন্য প্রাক্তনরা গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) নীতিকে একহাত নিয়েছেন। সমালোচকদের তালিকায় রয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও (Ravi Shastri)।
একটা সহজ পরিসংখ্যান হল, গম্ভীরের আমলে ১৮টা টেস্ট খেলেছে ভারত। এতগুলো টেস্ট খেললেও তিন নম্বর জায়গা নিয়ে যেন 'মিউজিক্যাল চেয়ার' চলছে। এই জায়গায় নেই করে ৭ ব্যাটার সুযোগ পেয়েছেন। ইডেন টেস্টের কথাই ভাবুন। তিনে নেমেছিলেন ওয়াশিটং সুন্দর। আর গুয়াহাটিতে নামলেন সেই আটে। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন। তাঁকে এক ম্যাচে তিন নম্বরে তো অন্য ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাট করানো হচ্ছে কেন, সেই উত্তর কেউই দিতে পারবেন না।
গম্ভীরের আমলে তিন নম্বরে থিতু হতে পারেননি কেউই। শাস্ত্রী বলছেন, "এর কোনও মানে হয় না। কোন পরিকল্পনায় এমন সব বিচিত্র সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়াও দল নির্বাচন নিয়েও অবাক হচ্ছি। ইডেনে চার স্পিনার খেলানো হল। এর মধ্যে এক স্পিনার মাত্র এক ওভার বল করল। এমনই যদি হয়, তাহলে কেন একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার খেলানো হল না? ইডেনে ওয়াশিংটনকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে বাধ্য করা হয়েছে। গুয়াহাটিতে আবার নামানো হল আটে। ও এর চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটার। ইডেনে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল যখন, গুয়াহাটি চারে নামানোই যেত। এমন করতে গিয়ে ব্যাটিং অর্ডারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।"
ওয়াশিংটনের জায়গায় যাঁকে তিন নম্বরে খেলানো হয়, সেই সাই সুদর্শনের প্রবণতাই হল বল আকাশে তোলা। ফলাফল তাঁর ঝুলিতে মাত্র ১৫ রান। সেটা না হয় এই টেস্টে। গম্ভীর যুগে দেখা গিয়েছে, তিন নম্বরে খেলেছেন করুণ নায়ার, বিরাট কোহলি, দেবদত্ত পড়িক্কল, কেএল রাহুলও। যে জায়গায় রাহুল দ্রাবিড় থেকে চেতেশ্বর পূজারা দিনের পর দিন দলকে নির্ভরতা জুগিয়ে গিয়েছেন, সেই জায়গায় এমন 'শনির দশা' ভাবা যায় না।
