সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স, জাতীয় দলের স্কোয়াডে সুযোগ। তারপরও টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক হয়নি বাংলার ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণের। সাদা বলের ক্রিকেটেও যে তিনি কম যান না, তা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে প্রমাণ করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করার পরও সম্ভবত বঞ্চিতই থাকতে হবে অভিমন্যুকে। সেই নিয়ে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকরের নাম না করে খোঁচা দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর বক্তব্য, এবার হয়তো বাংলার অধিনায়ককে টেস্টে সুযোগ দেওয়া হবে।
আসলে এই খোঁচার সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান ছবিটাও তুলে ধরতে চাইলেন অশ্বিন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর বা হর্ষিত রানাদের টেস্টে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল, আইপিএলে নাম করেছেন। অথচ সরফরাজ খান, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা 'বঞ্চিত' থাকছেন। যাঁরা কি না লাল বলের 'স্পেশালিস্ট'। অনেকে বলছেন, গম্ভীর-আগরকর জমানায় হয়তো টেস্টে সুযোগ পাওয়ার জন্য ভালো টি-টোয়েন্টি খেলতে হবে।
তা সেটাও করে দেখালেন অভিমন্যু। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬৬ বলে ১৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাংলার ব্যাটার। তারপরই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলছেন, "অভিমন্যুকে নিয়ে অনেক কথা হয়। সম্প্রতি ও টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছে। টি-টোয়েন্টিতে রান করেছে মানে এবার নিশ্চয়ই ওকে টেস্টে দেখা যাবে।" অশ্বিন যে ভঙ্গিতে কথাটা বলেন, তাতে বিদ্রূপ স্পষ্ট। পাশাপাশি ভারতের টেস্ট অবনতির কারণও তিনি তুলে ধরেন।
তবে সেঞ্চুরি করে সেভাবে প্রচারের আলো পাননি অভিমন্যু। বাংলা ওই ম্যাচে ১১২ রানে হারে। যার নেপথ্যে পাঞ্জাবের অভিষেক শর্মার ৫২ বলে ১৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটারকে নিয়েই চর্চা বেশি হয়েছে। অন্যদিকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলার অধিনায়কের গড় ৪৭.৮৫। ১০৯টি ম্যাচে করেছেন ৮১৩৬ রান। সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৭। জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ঠিকই, তবে খেলানো হয়নি। সেখানে নীতীশ, হর্ষিত বা ওয়াশিংটনদের ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে, গম্ভীর-আগরকর জুটি আদৌ ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয় তো?
