সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্দশা অব্যাহত। মাঠের পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। এবার কোপ পড়ছে ক্রিকেটারদের মাইনেতেও। শুধু পুরুষদের নয়, মহিলাদের ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই অবস্থা। সূত্রের খবর, ঘরোয়া ক্রিকেটে পিসিবি-র নতুন বার্ষিক চুক্তিতে মহিলা ক্রিকেটাররা যে অর্থ পাবেন, তা ওই দেশের অদক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম বেতনের কম।

অথচ খাতায়-কলমে পাকিস্তানে ঘরোয়া ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ মহিলা ক্রিকেটারের সংখ্যা বেড়েছে। এই মুহূর্তে ৯০ জন মহিলা ক্রিকেটার বিভিন্ন বিভাগে পিসিবি-র চুক্তির অধীন। ১৮ জন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার, ৬২ জন তরুণ প্রতিভা ও ১০ জন জাতীয় দলের ক্রিকেটার এই তালিকায় আছেন। গত বছর সেখানে ৭৯ জন ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।
আর সেখানে প্লেয়ারদের প্রতি মাসে ৩৫ হাজার পাকিস্তানি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলেই খবর। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার টাকা। অথচ পাকিস্তানে একজন অদক্ষ কর্মীর ন্যূনতম মাসিক আয় হওয়া উচিত ৩৭ হাজার পিকেআর। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১১,৪০০ টাকা। যা পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটের দুরবস্থার কথা তুলে ধরছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এখানেই শেষ নয়। এই চুক্তির কথা ঘোষণা হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। কিন্তু তারপর ৯ মাস কেটে গেলেও কার্যকর করা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন ক্রিকেটার ম্যাচ পিছু ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ৬০০০ টাকা) পাবেন। আর এমন নয় যে তাঁরা সারা বছর প্রচুর ম্যাচ খেলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ম্যাচ খেললেও ৩১ দিনের বেশি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়।
অবশ্য পুরুষদের ক্রিকেটেও কোপ পড়েছে। সূত্রের খবর, পিসিবি ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফি-র ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে, রিজার্ভ খেলোয়াড়দের ফি ৮৭.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ ক্রিকেটাররা যেখানে ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা পেতেন, তা কমিয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া আগে ক্রিকেটাররা পাঁচতারা হোটেলে থাকতেন। এখন তাঁদের জন্য বরাদ্দ সাধারণ মানের হোটেল।