সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক ক্রিকেটীয় সম্পর্ক কোন খাতে বইবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যেই ঘোষিত হয়েছে এশিয়া কাপের দিনক্ষণ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে ভারত-পাক দ্বৈরথে রাজি হল বিসিসিআই? ক্রীড়ামন্ত্রক কিন্তু কার্যত দায় চাপিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপরেই।
সম্প্রতি সংসদে জাতীয় ক্রীড়া বিল ২০২৫ পেশ করা হয়েছে। কিন্তু তা এখনও পাশ হয়নি। এই বিল চালু হলে বিসিসিআইও সরাসরি এর অধীনে আসবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনে বিসিসিআইয়ের কিছু সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সেটা যেহেতু এখনও পাশ হয়নি, তাই এশিয়া কাপে ভারত-পাক দ্বৈরথের ক্ষেত্রেও ক্রীড়ামন্ত্রক সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ক্রীড়ামন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত বিসিসিআই ক্রীড়ামন্ত্রকের অধীনে আসে না। কারণ, ক্রীড়া বিল এখনও সংসদে পাশ হয়নি। ফলে ক্রীড়ামন্ত্রক কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করছি এবং দেখছি বিসিসিআই কীভাবে মানুষের আবেগের মর্যাদা দেয়।" উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "ভারত সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে নির্মূল করে ছাড়বে। যে কারণে অপারেশন সিঁদুর এখনও থামেনি। এটা পাকিস্তানের জন্য একটা বার্তা।" এই পরিস্থিতিতে কি আদৌ ভারত-পাক ম্যাচ সম্ভব?
সম্প্রতি লেজেন্ডস লিগে ভারত-পাক ম্যাচ বাতিল হয়েছে। তার আগে ম্যাচ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হলেও ভারত-পাক ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী হয়, সেদিকে চোখ থাকবে সবার। শুধু তাই নয়, দুই দল ফাইনালে উঠলে টুর্নামেন্টে তিনবার ভারত-পাক ম্যাচ দেখা যাবে। ‘এ’ গ্রুপে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ওমান আছে। এসিসি’র প্রধান মহসিন নকভি সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এশিয়া কাপ।
