বোরিয়া মজুমদার: কেকেআর তাঁকে রাখতে চেয়েছিল। এমনকী রিটেনশন তালিকায় সবার আগে তাঁর নামই ছিল। কিন্তু কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারই চেয়েছিলেন যে, নিলামে যেতে। নিলামে তাঁর দাম কতটা ওঠে, সেটা দেখতে। বক্তার নাম কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর।
গতবার টিমকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার পরেও অধিনায়ক শ্রেয়সকে এবার ‘রিটেন’ করেনি কেকেআর। যা নিয়ে যথেষ্ট শোরগোলও চলছে আইপিএল মহলে। শুক্রবার একান্ত সাক্ষাৎকারে নাইট সিইও ভেঙ্কি মাইসোর যার উত্তর দিলেন। বলছিলেন, ‘‘শ্রেয়স আমাদের রিটেনশন তালিকায় এক নম্বরে ছিল। কিন্তু কী জানেন, রিটেনশনের ক্ষেত্রে এক হাতে তালি কখনও বাজে না। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করল, আর সমস্ত হয়ে গেল, ব্যাপারটা এমন নয়। দেখতে হবে, প্লেয়ারও রিটেনড হতে চায় কি না? ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থেকে যেতে চায় কি না?’’
এখানেই না থেমে মাইসোর আরও যোগ করেন, ‘‘আবারও বলছি, আমাদের রিটেনশন তালিকায় শ্রেয়সই প্রথম নাম ছিল। কারণ, ও আমাদের অধিনায়ক। যে কারণে দু’বছর আগে আমরা ওকে নিয়েছিলাম। এমনকী যখন শ্রেয়স চোট পেল, তখনও আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম যে, চোট সারিয়ে ফিরে এলে আবার ও-ই অধিনায়ক হবে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, বুঝলেন তো। কোনও প্লেয়ার যদি নিজের মার্কেট ভ্যালু পরখ করে দেখতে চায়, নিলামই তার শ্রেষ্ঠ জায়গা। আর সেক্ষেত্রে প্লেয়ারকে সেটা করতে দেওয়াও উচিত। ব্যক্তিগত স্তরে শ্রেয়সের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও ভালো। কিন্তু প্লেয়ারকে তার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।’’
নাইট সিইওর কথা ধরলে শ্রেয়সই কেকেআর সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কেকেআর ছাড়তে চায়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, টিমের অধিনায়ক, যাঁর জন্য এত কিছু করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাঁর এহেন বিদায়ে খারাপ লেগেছে কি না? ‘‘এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। এ ভাবে ব্যাপারটাকে দেখা উচিত নয়। বরং আমাদের মেনে নেওয়া উচিত যে, শ্রেয়সের ক্ষেত্রে সব কিছু কাজ করেনি। আমাদের চাওয়া সত্ত্বেও হয়নি। কখনও কখনও এ জিনিস হয়। আর সে সবকে ভুলেই সামনে তাকানো উচিত।’’